বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে তিনটি ব্যাংকে ডাকাতি, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর অস্ত্র লুট এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলাসহ একের পর এক ঘটনায় সন্ত্রাস দমনে কম্বিং অপারেশন অব্যাহত রয়েছে। জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচিতে যৌথ বাহিনীর এ অপারেশনে নেতৃত্ব দিচ্ছে সেনাবাহিনী। এছাড়া অপারেশনে আছেন পুলিশ,র্ যাব, বিজিবি, এপিবিএন, আনসার ও বিমান বাহিনীর সদস্যরাও। অভিযান পরিচালনায় যুক্ত হয়েছে সাঁজোয়া যান।
অপারেশনে রোববার রাতে থানচি কেএনএফের সক্রিয় সদস্য সন্দেহে ৩ জন ও ব্যাংক ডাকাতির সময় ব্যবহৃত এক গাড়ির চালকসহ ৪ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
এছাড়া জেলার রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া এলাকায় যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে দুইজন সক্রিয় কেএনএফ সদস্যকে আটক করেছে। এ সময় ৭টি দেশি বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি, ল্যাপটপ, ইউনিফর্ম ও বুট উদ্ধার করা হয়। সোমবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইএসপিআর।
এদিকে সোমবার সকাল থেকে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচিতে পাঠানো হয়েছে সাঁজোয়া যানসহ পুলিশের বিশেষ বাহিনী এপিবিএনসহ রিজার্ভ ফোর্স।
পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে কেএনএফের আলোচনার মধ্যেই সশস্ত্র সংগঠনটির পর পর জেলায় ব্যাংক ডাকাতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুট ও নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার ঘটনাকে ছোট করে দেখছে না সরকার।
চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় রোববার রাতে আনা হয় বিশেষ সাঁজোয়া যান। যা দিয়ে তিন উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টহল দেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এর মধ্যে রুমাতে একটি, থানচিতে একটি ও রোয়াংছড়িতে একটিসহ তিন উপজেলায় তিনটি যান পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানিয়েছেন।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, রোববার গভীর রাতে থানচিতে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে কেএনএফের সক্রিয় সদস্য সন্দেহে ৩ জন ও ব্যাংক ডাকাতি করতে আসার সময় যে গাড়ি সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করেছিল সে গাড়ির চালকসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ব্যাংক ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়িটিও জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে রুমা থেকে নতুন যে দুইজন কেএনএফ সদস্যকে আটক করা হয়েছে তাদের থানায় সোপর্দ করা হলে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।