গাংনীর ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করবেন ১১ গ্রামের মুসলিস্ন

প্রকাশ | ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
মেহেরপুরের সবচেয়ে বৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের মানিকদিয়া এগার গ্রাম ঈদগাহ ময়দানে। সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী এ ঈদগাহ ময়দানটিতে জেলা ও জেলার বাইরের লোকজনও নামাজ আদায় করবেন। ঈদগাহে ইমামতি করবেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ হাফেজ ক্বারী মো. নজরুল ইসলাম মাদানী। মুসলিস্নদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে পুলিশ প্রশাসন। ঈদগাহ ময়দানের কোষাধ্যক্ষ বজলুর রহমান জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ঈদের জামাতকে প্রাণবন্ত ও দর্শনীয় করে তুলতে ঈদগাহ মাঠ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও রংয়ের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। মুসলিস্নদের যাতায়াতের পথ সংস্কার করা হয়েছে। এবার অন্তত ১৫ থেকে ২০ হাজার মুসলিস্ন এখানে নামাজ আদায় করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন গ্রামের মুসলিস্নদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্দিষ্ট সময়ে নামাজ আদায়ের জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। মানিকদিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১১টি গ্রামের মাঝখানে মানিকদিয়া ঈদগাহ ময়দান। ময়দানটিতে আমরা ছোটবেলা থেকেই প্রতিবছর দু'টি ঈদের নামাজ আদায় করি। এতে একসঙ্গে অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হয় এবং নামাজ শেষে কথা হয়। এতে বিভিন্ন গ্রামের মানুষের সঙ্গে সখ্যতা বাড়ে। ঈদগাহ ময়দান পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক জানান, এই ঈদগাহ ময়দানে অন্তত ১১টি গ্রামের মানুষ নামাজ আদায় করে। শতবর্ষী এই ঈদের মাঠে আজও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সব গ্রাম প্রধানদের সমন্বয়ে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদগাহ পরিচালনা এবং নামাজ আদায় করা হয়। ষোলটাকা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার পাশা বলেন, আমরা সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি এই ঈদগাহ মাঠে ২০ থেকে ২৫ হাজার মুসলিস্নদের নিয়ে বিশাল জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবারও ধারণা করা হচ্ছে তার চেয়ে বেশি লোক সমাগম হবে। অনেক দূর-দূরান্তের মুসলিস্নদের সঙ্গে নামাজ আদায় করা এবং মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, ১৯২৩ সালে ঝোড়পাড়া গ্রামের রমজান আলী ও মানিকদিয়া গ্রামের রিয়াজউদ্দিন বিশ্বাস ঈদগাহ ময়দানটি এলাকাবাসীর একত্রে নামাজ আদায়ের জন্য তিন বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ঈদগাহ মায়দানটি সম্প্রসারিত করা হয় ১৫ বিঘা জমির ওপর। এলাকার ১১টি গ্রামের মানুষ এখানে নামাজ আদায় করেন, তাই ঈদগাহর নাম রাখা হয়েছে ১১ গ্রাম ঈদগাহ ময়দান। মানিকদিয়া, আমতৈল, কেশবনগর, ভোলাডাঙ্গা, ঝোরপাড়া, মিনাপাড়া, কুঞ্জুনগর, হুদাপাড়া, শিমুলতলা, শহড়াবাড়িয়া, রুয়েরকান্দি গ্রামের লোকজন এই শতবর্ষী ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।