তিন জেলায় সড়কে ঝরল গৃহবধূসহ ৩ জনের প্রাণ
প্রকাশ | ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
স্বদেশ ডেস্ক
তিন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় গৃহবধূসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ঝিনাইদহে বাংক ম্যানেজার, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অটোরিকশা চালক এবং চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে কোরআন হাফেজ ও গৃহবধূ নিহত হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মো. হাসানুজ্জামান (৪৫) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোর ৫টায় কালীগঞ্জ মেইনবাস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হাসানুজ্জামান ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নারিকেলবাড়িয়া এলাকার শমসের আলীর ছেলে। তিনি ঝিনাইদহ শহরের মহিলা কলেজপাড়ায় বসবাস করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভোরে মোটর সাইকেলে ঝিনাইদহ থেকে কর্মস্থল সাতক্ষীরা যাচ্ছিলেন হাসানুজ্জামান। পথে কালীগঞ্জ মেইন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি মোটর সাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে সড়কের ওপর পড়ে গেলে পেছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃতু্য হয়। কালীগঞ্জ থানার ওসি আবু আজিফ জানান, ঘাতক চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি জানান, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দ্রম্নতগামী কোচের ধাক্কায় রায়হান আকন্দ (৩৫) নামে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক নিহত হয়েছেন। সোমবার সকালে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, গোবিন্দগঞ্জ শহর থেকে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে অটোরিকশা চালক রায়হান গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার হাইওয়ে থানার সামনে যাত্রী নামিয়ে দেন। এরপর মহাসড়কের ওপর ইউটার্ন নেওয়ার সময় ঢাকা থেকে রংপুরগামী দ্রম্নতগামী একটি যাত্রীবাহী বাস অটোরিকশাটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মুমুর্ষু অবস্থায় অটোরিকশা চালক রায়হানকে উদ্ধার করে তাকে দ্রম্নত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নেওয়ার পথে তার মৃতু্য হয়।
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, ফটিকছড়ির ভূজপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে কোরআন হাফেজ মো. শাকিল (২০) ও ২ সন্তানের জননী ইছমু আক্তার (৩৫) নামে দুইজনের মৃতু্য হয়েছে।
গত রোববার উপজেলার ভূজপুর ইউপির ন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন ফটিকছড়ি-রামগড় আঞ্চলিক সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
শাকিল বাবুনগর মাদ্রাসার ছাত্র। ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার পূর্বে বন্ধুর ইফতারের দাওয়াতে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঘটনার পরদিন সোমবার একই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ইছমু আক্তার (৩৫) চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি উপজেলার পাইন্দং ইউপির বেড়াজালি গ্রামের ওমান প্রবাসী মো. ফোরকানের স্ত্রী।
এ ছাড়া এ ঘটনায় গুরুতর আরও দুইজন আহতরা হলো- নিহত গৃহবধূর মেয়ে শিশু রাইসা মনি (৬) ও ওয়াজিয়া (১৫)।