ভাসানটেক বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করা হবে
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে মেয়র আতিক
প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ভাসানটেক বস্তিবাসীর পরিকল্পিত পুনর্বাসনের বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। ভাসানটেক বস্তির পরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাথে একাধিকবার আলাপ করেছি। এখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করে বস্তিবাসীর জন্য আবাসনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই বস্তিবাসীর পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত বস্তি উচ্ছেদ করা হবে না। বস্তিগুলোতে প্রায়ই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। মহাখালী সাততলা বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করা হয়েছে। ভাসানটেক বস্তিতেও দ্রম্নত সময়ের মধ্যে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করে দেবো।
রোববার দুপুরে ডিএনসিসির উদ্যোগে এবং চীন দূতাবাসের সহযোগিতায় ভাসানটেক বস্তিতে বসবাসকারী এক হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এক হাজার জনের প্রত্যেককে ৮ কেজি মিনিকেট চাল, ১ কেজি মসুর ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি পেঁয়াজ, ৩ কেজি আলু, ১ কেজি চিনি, হলুদ ও মরিচের গুঁড়ার ১০০ গ্রাম প্যাকেট এবং ১ প্যাকেট সেমাই দেওয়া হয়।
মেয়র আরও বলেন, পবিত্র রমজান মাস প্রায় শেষ পর্যায়ে। দু-দিন পরেই ঈদ। ঈদে সুবিধাবঞ্চিত মানুষ না খেয়ে থাকবে এটা হতে পারে না। তাই চীন দূতাবাসের সহযোগিতায় ভাসানটেক বস্তির এক হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি। আমি সবাইকে অনুরোধ করব আপনারা সবার মধ্যে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। তাদেরকে সহযোগিতা করবেন।
চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে উলেস্নখ করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, চীন দূতাবাসের সাথে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন চমৎকারভাবে কাজ করছে। ডিএনসিসির আহ্বানে সাড়া দিয়ে চীন দূতাবাস সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এর আগেও তাদের সহযোগিতায় কড়াইল বস্তিতে বসবাসকারী নারীদের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ দুই দেশের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।