পর্যটক বরণে প্রস্তুত হচ্ছে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটা। ঈদুল ফিতর উদযাপনে টানা ছয় দিনের লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে দেশ। ঈদ-পরবর্তী সরকারি ছুটিতে আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলোকে বাহারি সাজে সাজানো হচ্ছে। পর্যটন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থান পাচ্ছে নানাবিধ নতুন নতুন বাহারি পণ্য। সৈকতের ছাতা-বেঞ্চে লেগেছে নতুনত্বের ছোঁয়া। প্রকৃতি যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে পর্যটকদের।
ইতোমধ্যে কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল-মোটেলে আগাম বুকিং শুরু হয়ে গেছে।
জানা গেছে, কুয়াকাটায় ঘুরতে যাওয়া দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশের নজরদারি। থাকবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ ছাড়া জোরদার করা হয়েছে উদ্ধার কার্যক্রম।
পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকবে সাগরকন্যা। ইতোমধ্যে ভাড়া হয়েছে হোটেল-মোটেলের ৫০ শতাংশ কক্ষ। তবে পর্যটনে ভরপুর মৌসুম হওয়ায় এবার থাকছে না তেমন কোনো ছাড়।
এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুবিধা নিশ্চিতে গত ৪ এপ্রিল স্থানীয় স্টেকহোল্ডার, ১৬টি পেশার প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি ও টু্যরিস্ট পুলিশের সমন্বয়ে আলোচনা সভা করেছেন কুয়াকাটা সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম।
সভায় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও ভ্রমণ উপভোগ্য করে তুলতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
টু্যর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার সেক্রেটারি জেনারেল জহিরুল ইসলাম বলেন, পুরো রমজান মাস পর্যটকশূন্য ছিল কুয়াকাটা। এই সময় হোটেল-মোটেলগুলো আরও পরিপাটি করা হয়েছে। সৈকত দীর্ঘদিন ফাঁকা, পুরো এলাকা ঝকঝক করছে। বর্ষার শুরুতে সৈকতে উঁচু ঢেউ, জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য নজর কাড়বে সব বয়সি মানুষের। এসব কারণে ঈদের ছুটিতে লাখো ভ্রমণপিপাসুর আগমন ঘটবে। কুয়াকাটা সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়তি পর্যটক আগমনের সম্ভাবনা মাথায় রেখে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত তৎপরতার পাশাপাশি তিনজন অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট, স্কাউটের প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক এবং সৈকতে রেসকিউ টিম প্রস্তুত থাকবে। বাড়তি ভাড়া আদায় প্রতিরোধ ও হয়রানি বন্ধে নজরদারি করা হবে।
টু্যরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লেম্বুরবন থেকে রামনাবাদ চ্যানেল পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকবে টু্যরিস্ট পুলিশ সদস্যরা। পর্যটকদের সেবায় জল ও স্থলপথে সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।