রোজা আসার পর থেকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, নিকলী, কটিয়াদী, অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইনসহ আশপাশের উপজেলাগুলোতে বিপিডিপি ও আরইবির বিদু্যৎ ভেলকিবাজিতে পড়েছেন কয়েক লাখ গ্রাহক।
কখন বিদু্যৎ আসে গ্রাহকরা তা বলতে পারেন না। ঈদ সন্নিকটে থাকলেও এই বিদু্যতের কারণে বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের ধরে রাখতে পারছেন না। তারা গত কয়েকদিন ধরে লোকসানের মুখ দেখছে।
জানা যায়, এই অঞ্চলে কয়েক লাখ আরইবির বিদু্যৎ গ্রাহক দিনে রাতে মিলে ৫-৬ ঘণ্টা বিদু্যৎ পাচ্ছেন। ১৮ ঘণ্টা বিদু্যৎ না থেকেও গ্রাহকদের ২৪ ঘণ্টার বিদু্যৎ বিল দিচ্ছে বলে গ্রাহকদের অভিযোগ। বিদু্যৎ না থাকার কারণে গ্রামের মানুষ অতিরিক্ত গরমে বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া বিদু্যৎ না পাওয়ায় অনেক গ্রাহক হিট স্ট্রোকে মারা যাচ্ছে। অন্যদিকে বিপিডিপির আওতাধীন বাজিতপুর, কুলিয়ারচর, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ সদর দিনে রাতে মিলে ৫-৬ ঘণ্টা বিদু্যৎ লোডশেডিংয়ে পড়ছে। কিন্তু সেহরি ও ইফতারের সময় বিদু্যৎ এক ঘণ্টার জন্য লোডশেডিং রাখছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় বিদু্যৎ প্রকৌশলীরা বলতেই পারে না কিসের জন্য বিদু্যৎ লোড শেডিং হচ্ছে।
গ্রাহকদের দাবি আর কত দিন বিদু্যৎ লোডশেডিং থেকে সাধারণ গ্রাহকরা রেহাই পাবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি একবার ভেবে দেখবেন বলে গ্রাহকদের দাবি।