রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নীলফামারী জেলায় দুস্থদের ভিজি এফ চাল বিতরণ সম্পন্ন

এসএ প্রিন্স, নীলফামারী
  ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
নীলফামারী জেলায় দুস্থদের ভিজি এফ চাল বিতরণ সম্পন্ন

নীলফামারীতে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ৫৫ হাজার ৮৭ জন দুস্থ ও অসহায়ের মধ্যে ভিজিএফ চাল বিতরণ কার্যক্রম রোববার সম্পন্ন হয়েছে। বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় নীলফামারী সদর উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ৫৫হাজার ৮৭জন অসহায় ও দুঃস্থকে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। এরমধ্যে সদর উপজেলার চওড়াবড়গাছা ইউনিয়নে ৩ হাজার ৭৩০ জন, গোড়গ্রাম ইউনিয়নে ৩ হাজার ৯৪৫ জন, খোকশাবাড়ী ইউনিয়নে ৩ হাজার ২০২ জন, পলাশবাড়ী ইউনিয়নে ২ হাজার ৯৮০ জন, টুপামারী ইউনিয়নে ৪ হাজার ২১৮জন, রামনগর ইউনিয়নে ৩ হাজার ৪৫৭জন, কচুকাটা ইউনিয়নে ৩ হাজার ৫৯৪জন, পঞ্চপুকুর ইউনিয়নে ৩ হাজার ১৭৩ জন, ইটাখোলা ইউনিয়নে ৩ হাজার ৯৪৫জন, কুন্দপুকুর ইউনিয়নে ৪ হাজার ৪৮০জন, সোনারায় ইউনিয়নে ৪ হাজার ১৪৫ জন, সংগলশী ইউনিয়নে ৩ হাজার ২১৬ জন, চড়াইখোলা ইউনিয়নে ৪ হাজার ৩৫৩জন, চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নে ৩ হাজার ৮২১জন ও লক্ষীচাপ ইউনিয়নে ২ হাজার ৮২৮জন।

সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণকালে শনিবার দেখা যায় দুস্থ ও অসহায়রা লম্বা লাইনে দাড়িয়ে থাকতে। একাধিক দুস্থ ও অসহায় মানুষের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ১০ কেজি করে চাল পেয়ে তারা রমজান মাসে আনন্দিত। এসময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের অগ্রিম শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ঈদের আনন্দকে সবার মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার প্রয়াসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। চাল বিতরণ কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়েছে। উপহার হিসেবে এ চাল পেয়ে সবাই আনন্দিত এবং সন্তষ্ট হয়েছেন।

এদিকে গোড়গ্রাম ইউনিয়নে চালের ওজন পরিমাপের জন্য কোন ডিজিটাল স্কেল দেখা যায়নি। ডিজিটাল স্কেল ছাড়াই বালতিতে মেপে মনগড়া ভাবে চাল বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ চাল পাওয়া একাধিক উপকার ভোগী তাদের চাল স্কেলে মেপে দেখেন জনপ্রতি ১০ কেজি চাল না দিয়ে সাড়ে ৯ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নগুলোতেও স্বচ্ছভাবে চাল বিতরণের দৃশ্য চোখে পড়ে।

বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দায়িত্বর ট্যাক অফিসার, ইউনিয়ন সচিব, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

একাধিক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়নে দুস্থ ও অসহায় মানুষের সংখ্যার চেয়ে চাল বরাদ্দ কম হওয়ায় কিছু বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে দুস্থ ও অসহায়দের ভিজিএফ চাল বিতরণের জন্য প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদে ট্যাক অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়। স্বচ্ছভাবে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত দুস্থ ও অসহায় ব্যক্তিরা যাতে ভিজিএফ চাল থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে বলা হয়। তিনি নিজেও বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের চাল বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন। এ কর্মসূচি অসহায় ও দুঃস্থদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে