ভেদরগঞ্জে এমপির প্রার্থী দাবি করে ভোট চাইছেন হুময়ুন কবির
প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হুমায়ুন কবির মোল্যার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সখিপুরের মুন্সীকান্দি এলাকায় জব্বার পলিস্নতে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের আগেই ভোটারদের কাছে বক্তব্যের মাধ্যমে নিজের জন্য ভোট চেয়েছেন। যা নির্বাচনের বিধিমালায় প্রতীক বরাদ্দের আগ পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভোট চাওয়া নিষেধ।
পাশাপাশি দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম এমপির একান্ত ও সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে দাবি করেন। তবে দলীয়ভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন এমপি মন্ত্রীরা প্রার্থীদের হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। স্থানীয় এমপির স্বঘোষিত প্রার্থী হুমায়ুন কবির মোলস্না ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে বোঝেনা সমালোচনার ঝড়। এতে করে উপজেলা নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা এবং অবাদ নিরপেক্ষতা না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে কোনো সময় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ও বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটতে পারে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রথম ধাপের ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলার মধ্যে ২২ উপজেলায় ভোট হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনও হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে। নির্বাচনে থাকছে না আওয়ামী লীগের দলীয় কোন প্রতীক। ১৫ এপ্রিল প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সর্বশেষ তারিখ। ১৭ তারিখ প্রার্থীতা যাচাই-বাছাই হবে। তবে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ না পাওয়া পর্যন্ত কোনোভাবে ভোটারদের কাছে কেউ ভোট চাইতে পারবে না। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশনা দলীয় কোনো এমপি মন্ত্রী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থী হয়ে কাজ কিংবা হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
এ বিষয় উপজেলা চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির মোল্যা বলেন, 'আমি এমপি শামিম ভাই ও সখীপুর থানা আওয়ামী লীগের প্রত্যাশীত প্রার্থী। ১৫ তারিখে মনোনয়ন ফরম জমা দেব। তবে প্রতীক দেওয়ার আগে ভোট চাওয়া নিষেধের বিষয়টি জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমি আইনশৃঙ্খলা মেনে চলব।'
শরীয়তপুর জেলা নির্বাচন অফিসার আব্দুল মান্নান বলেন, এখনো মনোনয়ন জমা হয়নি, তার আগে কোনো মতেই ভোট চাওয়া যাবে না। প্রার্থী ৫ জন মিলে জনসংযোগ করতে পারবে। আর যদি কেউ নির্বাচনী আচরণবিধ ভঙ্গ করে তাদের বিরুদ্ধে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।