বগুড়ায় আসামিকে ছিনতাইয়ে থানায় হামলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৯

প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
চাঁদপুরে পৃথক অভিযানে ১৩ জেলে আটক
বগুড়ার শাজাহানপুরে আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে চাঁদপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ১৩ জেলেকে আটক করা হয়। স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া জানান, বগুড়ার শাজাহানপুরে চাকুসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় শাজাহানপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামানের নুরুর নেতৃত্বে থানায় হামলা করা হয়। তারা গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাসহ পুলিশে ওপর হামলার পর পুলিশ নুরুসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় ২টি বিদেশি পিস্তল, ৭ রাউন্ড গুলিসহ মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নুরুজ্জামান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। পুলিশ জানায়, রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা আড়িয়া বাজার এলাকা থেকে পুলিশ ২টি বার্মিজ চাকুসহ মিঠুন (২৮) নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় নুরুজ্জামান নুরু ৩০-৪০ জনসহ থানায় মটর সাইকেল নিয়ে এসে চড়াও হয় এবং গ্রেপ্তার মিঠুনকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের ওপর চাপ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। শাজাহানপুর থািনার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, নুরু বাহিনী পুলিশের ওপর চড়াও হলে ৩ পুলিশ আহত হয়। পরে পুলিশ নুরুবাহিনীকে থানা থেকে সরিয়ে দেয়। পরে আরও লোকজনসহ নুরুজ্জামান বাহিনী মহাসড়ক অবরোধ করে। পুলিশ রাস্তা থেকে নুরুজ্জামান ও তার লোকজনকে সরাতে গেলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের সরিয়ে দেয়। চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে মাছ ধরায় নৌ পুলিশের পৃথক অভিযানে ১৩ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদন্ড, ৬ জনের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে মামলা এবং ২ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, শনিবার সকালে সদর উপজেলার লক্ষ্ণীপুর মডেল ইউনিয়নের বহরিয়া এলাকায় অভিযানে যায় নৌ পুলিশ। এ সময় মাছ ধরায় শিপন সিকদার (৩১), ইমরান খান (২৬), এমরান গাজী (২২), মানিক খাঁন (২৮), রাসেল বেপারী (২০), সাগর হোসাইন (১৯), আব্দুর রহমান (১৫) ও মো. শুক্কুর আলীকে (১২) আটক করা হয়। তাদের হেফাজতে থাকা ২ হাজার বর্গমিটার কারেন্ট জাল ও দুটি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়। তিনি আরও জানান, আরেকটি অভিযানে মাছ ধরা অবস্থায় আল ইসলাম (১৮), মঞ্জুর হোসেন (১৯), সিরাজুল ইসলাম (২৫), আব্দুল মালেক (২২), আনোয়ার মোলস্নাকে (৪২) আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এসব জেলেদের সঙ্গে থাকা ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ১টি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়।