ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি বলেছেন, 'পলি পড়ে শোলমারী নদী প্রায় সমতল ভূমিতে রূপ নিয়েছে। এ নদী মারা গেলে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তর বিলডাকাতিয়া বিলসহ, বিশেষ করে ডুমুরিয়ার রংপুর ও বটিয়াঘাটা উপজেলার একটা বড় অংশ জলাবদ্ধ হয়ে পড়বে। জলাবদ্ধতা নিরসনে শোলমারী ১০ ভেন্ট রেগুলেটরে পাম্প স্থাপন করা হচ্ছে।
গত শনিবার বিকালে শোলমারী গেটসহ নদী পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
এ সময় ভূমিমন্ত্রী বলেন, 'শোলমারীসহ খুলনার ডুমুরিয়ায় চরম নাব্য সংকটে ১১টি নদী খননের চেষ্টা চলছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনা আমাদের মূল লক্ষ্য। তাছাড়া ঘোনারদাড়ায় ব্রিজের নিচে বাঁধ দিয়ে শোলমারী ১০ ভেন্ট রেগুলেটর দিয়ে পানি ওঠা-নামার মাধ্যমে নদীর নাব্য রাখার চেষ্টা করছি।'
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড, (দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল) খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বিদু্যৎ কুমার সাহা, পাউবোর খুলনা-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাযকিয়া, ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমীনা পারভীন, পাউবোর এসডি আতাউর রহমান, থানার ওসি সুকান্ত সাহা, পাউবো এসও তরিকুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংক ঢাকার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার পরেশ চন্দ্র মন্ডল, পাউবোর ২৭/১ পোল্ডারের সভাপতি শেখ এনামুল হোসেন, ইউপি সদস্য তরুণ কুমার সরকার, মিলন মহলদার, পলাশ হালদার, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আব্দুল মজিদ, সঞ্জয় দেবনাথ, শিশির ফৌজদার প্রমুখ।
পাউবোর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বিদু্যৎ কুমার সাহা বলেন, 'শোলমারী রেগুলেটরে দুইটি ৩৫ মিমি পাম্প বসানো হবে। অলরেডি আমরা টেন্ডারে দিয়েছি। তবে জার্মান থেকে পাম্প আসতে কিছুটা সময় লাগবে। আশা করি ঈদের পরপরই এটা বাস্তবায়ন হবে। এর আগ পর্যন্ত শোলমারী গেটের মুখে চলমান লোকাল ড্রেজিং ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।'
উলেস্নখ্য, ডুমুরিয়া উপজেলার অধিকাংশ নদী ও সংযোগ খালে পানি প্রবাহ না থাকায় মূল নদীগুলো দ্রম্নত পলিতে ভরাট হয়ে গেছে। যার ফলে বিলডাকাতিয়া বিলসহ রংপুর অঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালে রংপুরবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম ও পাউবোর উদ্যোগে শোলমারী ১০ ভেন্ট রেগুলেটরের উজান এবং ভাটিতে জরুরি ভিত্তিতে পলি অপসারণ করায় জলাবদ্ধতা সাময়িকভাবে দূর হলেও সম্প্রতি রেগুলেটরের মুখে ব্যাপক পলি পড়েছে।