রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হোসেনপুরে ঈদ ও বাংলা নববর্ষকে ঘিরে সুইসুতার নারী কারিগরদের ব্যস্ততা

হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
হোসেনপুরে ঈদ ও বাংলা নববর্ষকে ঘিরে সুইসুতার নারী কারিগরদের ব্যস্ততা

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উপলক্ষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সুই সুতার সুদক্ষ নারী কারিগররা। কেননা ঈদ ও বৈশাখ উপলক্ষে দোকানপাট, শপিং মল, বিপণিবিতানে সুইসুতার বাহারি নকশার শাড়ি কাপড়ের কদর বহুগুণে বেড়ে যায়। তাই পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখকে ঘিরে তারা আকর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর ডিজাইনের পুঁতি ও সুতা দিয়ে বিভিন্ন রঙের শাড়িতে নকশার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বিশেষ করে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র নারী ও শিশু কর্মীরা একরকম নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিয়ে, রাতদিন এক করে কিছুটা বাড়তি উপার্জনের আশায় আনন্দ নিয়ে শাড়িতে বিরামহীন নকশা তৈরি করছেন।

সরেজমিনে উপজেলার কুড়িমারা, শাহেদল, রহিমপুর, আশুতিয়া, দ্বীপেশ্বর পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, এ পেশায় যুক্ত প্রতিটি বাড়িতেই এখন শাড়িতে পুঁতি ও সুতা দিয়ে বিভিন্ন নকশার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন দক্ষ নারী ও শিশু কর্মীরা।

এ সময় উপজেলার খ্যাতিমান ও সুপরিচিত নারী উদ্যোক্তা এবং সুইসুতার কারিগর রহিমা খাতুন জানান, দীর্ঘদিন ধরে শাড়িতে নকশার কাজ করেই তিনিসহ অনেকে আজ ছেলেমেয়ের পড়ালেখার খরচ ও সংসারের সার্বিক ব্যয় সাচ্ছন্দে মিটিয়ে চলছেন। তাই অন্যবারের মতো এবারো ঈদ ও বাংলা নববর্ষের আগে তাদের ব্যস্ততা অনেক গুণ বেড়ে গেছে। শাহেদল গ্রামের নকশা কর্মী সালমা খাতুন জানান, পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে আগে অনেক কষ্ট করে সংসার চালাতে হতো। কিন্তু শাড়িতে নকশার কাজ শেখার ফলে এখন তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন।

উপজেলার কুড়িমারা গ্রামের নকশা কর্মী শেফালী বেগমসহ অনেকেই বলেন, 'আমাদের মতো সুইসুতার কারিগররা সরকারি প্রণোদনা পেলে এ খাতে আরও বেশি দরিদ্র নারী কারিগররা সুইসুতার নকশার কাজে অংশ নিয়ে স্বাবলম্বী হতে পারেন। এ জন্য তিনি জরুরি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতারও দাবি জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে