অটিস্টিক শিশুদের অধিকার, মর্যাদা এবং মঙ্গল নিশ্চিতকরণে সচেতনতা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালনকালে বাংলাদেশের পক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ, ঘানা, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, কাতার ও জাম্বিয়া যৌথভাবে অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এই ইভেন্টের আয়োজন করে। ইভেন্টটি দুটি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। সকালে অনুষ্ঠিত প্রথম পর্বে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং বিকালের দ্বিতীয় পর্বে অটিস্টিক শিশুদের চিত্রকলা ও ফ্যাশনসামগ্রী নিয়ে একটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত এবং ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত ম্যানুয়েল এল ল্যাগডেমিও যৌথভাবে ফিতা কেটে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশ্বে অটিজমের প্রবণতা বৃদ্ধিতে অটিস্টিক শিশু ও তাদের পরিবার যেসব প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছে- তা মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধিসহ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ ত্বরান্বিত করার গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশ। ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি ১০০ জনে একজনের অটিজম শনাক্ত হচ্ছে উলেস্নখ করে তাদের সার্বিক মঙ্গল নিশ্চিতকরণ ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রচেষ্টা বৃদ্ধির বিষয়টিও তুলে ধরে বাংলাদেশ।
এছাড়া, ২০১১ সালের 'অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার ও ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার' শীর্ষক ঢাকা ঘোষণার উলেস্নখ করে বাংলাদেশ জানায়- বিশ্বের মোট অটিজমে শনাক্ত মানুষের ১৫ শতাংশ দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাস করে এবং এই অঞ্চলে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে অগ্রগতি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যারা স্বতপ্রণোদিত হয়ে অটিস্টিক শিশুদের সেবা প্রদান করছে এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে, তাদের অনন্য ভূমিকার বিষয়টি বাংলাদেশ সামনে নিয়ে আসে।