আমাকে সেবা দিন, আমি আপনাদের সব কিছুর ব্যবস্থা করব
চিকিৎসক-নার্সদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, '২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য দেশের প্রান্তিক অঞ্চল পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে হবে। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা যদি ঠিকভাবে কাজ করে, তাহলেই এটা সম্ভব হবে। আমি এজন্য আপনাদের যত রকম সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করব। আপনারা আমাকে সেবা দিন, আমি আপনাদের প্রয়োজনীয় সব কিছুর ব্যবস্থা করব।'
এ সময় স্বাধীনতার পর পরই দেশের স্বাস্থ্য খাতে নেওয়া বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগ তুলে ধরে ডা. সামন্ত লাল সেন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য পূরণে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম বলেন, দেশে ডাক্তারের সংখ্যা ১০ হাজার থেকে বেড়ে ৩০ হাজার হয়েছে। দেশে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা শুরু করায় অফিসে উপস্থিতি বেড়েছে। আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স আছে ৫০০টি, এর মধ্যে ৫০ শয্যার হাসপাতাল আছে ৩৭৬টি। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি বেড়েছে, শিশুমৃতু্যও হার কমেছে। ইপিআই টিকাদান প্রায় ৯৪ শতাংশ সফল হয়েছে। রাতকানা রোগ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বর্তমানে ৫ বছরের কম বয়সি খর্বকায় শিশুর জন্মের সংখ্যা ২৪ শতাংশে নেমে এসেছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে অন্য বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণায় বৈপস্নবিক পরিবর্তন শুরু হয়েছিল। তিনি স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা পাওয়াকে জনগণের মৌলিক অধিকার এবং রাষ্ট্রের কর্তব্য হিসেবে সংবিধানে সংযোজনের পাশাপাশি প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব প্রদান করেন। তিনি চিকিৎসা সেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেলা, থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।
দেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন প্রসঙ্গে আলোচকরা বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সফল নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। যার ফলে গত ১৫ বছরে শিশু ও মাতৃমৃতু্য হার হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ অন্যান্য সূচকে উলেস্নখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণায়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. মো. জিয়াউদ্দিন, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটু মিয়া, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী।