বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক অতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। সড়কগুলো সারিয়াকান্দিবাসীর জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। সারিয়াকান্দি ব্রিজ থেকে কালিতলা ঘাট পর্যন্ত সড়ক সারিয়াকান্দি এলজিইডি আওতাভুক্ত। এছাড়া সারিয়াকান্দির সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়নের কয়েকটি সড়ক এসে সারিয়াকান্দি পৌর এলাকায় মিলিত হয়েছে। এতে বগুড়া জেলার সঙ্গে সারিয়াকান্দির যোগাযোগ সহজ হয়েছে। একদিকে সময় ও অর্থনৈতিক সাশ্রয়, অন্যদিকে যানজটমুক্ত নির্গমন হয়েছে এ সড়কের কারণে।
ঈদের সময় প্রতিদিন সারিয়াকান্দির, যমুনা নদী, কালিতলা ঘাট, প্রেম যমুনার ঘাট, ফিস পাস, চরের মনোরম পরিবেশ উপভোগ করার জন্য হাজার হাজার ভ্রমণপিপাসু বেড়াতে আসেন। পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসে বিভিন্ন দুর্ঘটনার স্বীকার হন তারা। গত কয়েক ঈদে দেখা গেছে, কিছু বখাটে যুবক জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসে যারা এলোমেলো মোটর সাইকেল চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
এ সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলসহ প্রতিদিন সিএনজি, ভটভটি, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার যাতায়াত করে থাকে। পাশাপাশি মোটর সাইকেলে বখাটে যুবকরা চলাচল করছে প্রতিনিয়ত। ঈদের আনন্দে এসব বখাটেরা সড়কজুড়ে মোটর সাইকেলের প্রতিযোগিতায় মত্ত হয়। আর এসব মোটর সাইকেলে লাগানো হাইড্রলিক হর্নের বিরক্তিকর উচ্চশব্দে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে বিকেল থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলে বখাটে যুবকদের মোটর সাইকেল মহড়া। কেউ প্রতিবাদ করতেও সাহস পায় না। এসব মোটর সাইকেলের এলোমেলো চালনায় অহরহ ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।
ঈদের দিন থেকে শুরু করে ছুটির ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত চলে এসব মোটর সাইকেলের মহড়া। প্রতিনিয়ত গ্রামের পথচারী বেপরোয়া মোটর সাইকেল চাপায় আহত ও নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। গত ৪ মার্চ হিন্দুকান্দি গ্রামে ১ নং ওয়ার্ডে রাস্তায় একটি বেপরোয়া মোটর সাইকেলের সঙ্গে দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বয়সের পথচারী আহত হয়ে, সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাতে সড়কে গতিরোধক নির্মাণ করে দেন। এ ছাড়া এ সড়কে পুলিশের টহলেরও দাবি করেছেন তারা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান বলেন, কাগজপত্র বিহীন মোটর সাইকেল ও বখাটেদের দৌরাত্ম্য রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।