বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্বে নিহত একজন, আহত ২০

প্রকাশ | ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

হাওড়াঞ্চল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
ইতালিতে টাকা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার খয়েরপুর-আব্দুলস্নাহপুর ইউনিয়নের উত্তর আব্দুলস্নাহপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে একতার মিয়া (৫৫) নামে একজনের মৃতু্য হয়েছে। এতে আহত হয়েছে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন। এ ঘটনায় খয়েরপুর-আব্দুলস্নাহপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তার খানসহ ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সংঘর্ষে নিহতর একতার মিয়া উত্তর আব্দুলস্নাহপুর গ্রামের ছমেদ আলীর ছেলে। জানা যায়, উপজেলার খয়েরপুর-আব্দুলস্নাহ পুরে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে। সর্বশেষ কয়েকদিন আগে আব্দুলস্নাহপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান দুই পক্ষের দুই ইতালি প্রবাসীর টাকা চুরিকে কেন্দ্র করে ঝগড়ার বিবাদ চলছিল। এই জেরে শুক্রবার বিকালে একতার মিয়ার বাড়িতে হামলা করে বাড়িঘর ভাঙচুরসহ লুটপাট করা হয়। এ সময় একতার মিয়ার ওপরে হামলা চালানো হলে সেখানেই তার মৃতু্য হয় বলে জানিয়েছেন নিহতের ছেলে সুমন মিয়া। নিহতের মেয়ে বীনা (৪০) জানান, 'হঠাৎ করে শতাধিক লোকজন মিলে আমাদের বাড়ির দিকে আসতে দেখে আমরা অন্যত্র আশ্রয় নেই। কিন্তু আমার বাবা বাড়ি থেকে বেড় হতে পারেননি। হামলাকারীরা বাবাকে বলস্নমসহ দেশীয় অন্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছে। হামলাকারিরা তাদের অন্ধ মা খুদেজা বেগমের ওপরও হামলা চালায়। স্থানীয়রা জানায়, ইতালিতে টাকা চুরির জেরে অষ্টগ্রামের উত্তর আব্দুলস্নাহপুর তাদের গ্রামের বাড়িতে বৃহস্পতিবার দুইপক্ষের বাগ্‌বিতন্ডা হয়। বিষয়টি মারামারির পর্যায়ে যাওয়ায় পুলিশ ও স্থানীয়রা দুই পক্ষকে মিলিয়ে দেয়। কিন্তু শুক্রবার বিকালে দুইপক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় উভয় পক্ষ রামদা, ছুরি, বলস্নম, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে একতার মিয়াকে এসব অস্ত্রের কোনো একটি দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তার খান এবং বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার খান একই গোষ্ঠীর। এ ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। অষ্টগ্রাম থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় শুক্রবার বিকালেই বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান এবং সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তার খাসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের ছেলে সুমন মিয়া বাদী হয়ে ৬৮টি জনের নাম উলেস্নখ করে একটি অভিযোগ দিয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।