যশোরে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সুলভ ঈদ বাজারে অর্ধেক মূল্যে পণ্য বিক্রি করেছে সামাজিক সংগঠন 'ব্যাক বেঞ্চার'। এই বাজারে চাল, আটা, সয়াবিন তেল, সেমাই চিনি, দুধ, মুরগির মাংসসহ ৮২৫ টাকা মূল্যের ৯টি পণ্য ৪০০ টাকায় ক্রয় করেছে ৩৫০টি পরিবার। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যশোর শহরের রবীন্দ্রনাথ সড়কের পাশে বসে অস্থায়ী এই বাজার। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে স্বল্প আয়ের মানুষের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই এসএসসি ১৯৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়া সামাজিক সংগঠন 'ব্যাক বেঞ্চার' এই ঈদ বাজারের আয়োজন করে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'ব্যাক বেঞ্চার' সদস্য সংখ্যা ১৯ জন। সদস্যরা কেউ চাকরিজীবী কেউ বা ব্যবসায়ী। এই সদস্যদের চাঁদার টাকা দিয়ে চলে নানামুখী স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকান্ড। সংগঠনটি মূলত দরিদ্র মানুষের জন্য বিনামূল্যে প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করে। পাশাপাশি শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, রক্তদান, সামাজিকভাবে সচেতনতামূলক কর্মকান্ড করে আসছেন। করোনাকালে সংগঠনটি অক্সিজেন সেবা, খাদ্যসামগ্রী বিতরণের মধ্যে দিয়ে মানুষের পাশে ছিলেন। স্বেচ্ছাসেবার ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে সংগঠনের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেন দরিদ্র, নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার। এজন্য তারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে যারা সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন, তাদের জন্য আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদ বাজারের ব্যবস্থা করেন। এরপর যশোর শহর ও শহরতলী বিভিন্ন পাড়া-মহলস্নায় জরিপ চালিয়ে সাড়ে তিনশ' জন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারকে শনাক্ত করে সংগঠনটি। তাদেরকে ঈদে দরকারি এমন ৮২৭ টাকা মূল্যের ৯টি পণ্য অর্ধেক মূল্যের চেয়ে কমে মাত্র ৪০০ টাকায় প্রদান করা হয়।
শুক্রবার দুপুরে এই ঈদ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আরএনরোডস্থ নতুন বাজার প্রাঙ্গণে নারী-পুরুষের লম্বা লাইন। বিভিন্ন পণ্যের স্টলও রয়েছে। ওই সব স্টলের টেবিলে সাজিয়ে রাখা হয়েছে পণ্য। ক্যাশ কাউন্টারে পণ্যের দাম পরিশোধ করে একটি স্স্নিপ নিয়ে লাইন থেকে একজন একজন করে স্টলে গিয়ে পছন্দের পণ্য ব্যাগে ভরে নিচ্ছেন।