ফিলিস্তিনে ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় পশ্চিমা দেশগুলো ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইসরাইল ফিলিস্তিনে বেসামরিক মানুষদের হত্যার ধারাবাহিকতায় এই হামলা চালাচ্ছে। গাজায় যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বেইলি রোডের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিহত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীমের মৃতু্যতে আয়োজিত এক স্মরণসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমি আশা করব, গতকালের (বুধবার) ঘটনার পর, যেখানে তিনজন ব্রিটিশ নাগরিকও হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন, এরপর পশ্চিমা বিশ্বের বোধোদয় হবে, পশ্চিমা বিশ্ব ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।'
সোমবার গাজার মধ্যাঞ্চলীয় দাইর আল বালাহ এলাকায় ইসরাইলের বিমান হামলায় দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ডসেন্ট্রাল কিচেনের (ডবিস্নউসিকে) সাত কর্মী নিহত হন। তাদের মধ্যে পোল্যান্ডের একজন, যুক্তরাজ্যর তিনজনসহ অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার এক দ্বৈতনাগরিক ছিলেন। বাকি একজন ফিলিস্তিনি।
ডবিস্নউসিকে বলছে, দাইর আল বালার একটি গুদাম থেকে চলে যাওয়ার সময় ত্রাণবাহী গাড়িবহরে হামলায় ওই কর্মীরা নিহত হন। তারা সমুদ্রপথে গাজায় নেওয়া ১০০ টনের বেশি খাবার ওই গুদামে রেখে আসতে গিয়েছিলেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'যে ঘটনাটি গাজায় ঘটেছে, সেটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। ইসরাইলের এই বর্বরতা, নৃশংসতা, মানুষ হত্যার মহোৎসব, সেটি থামছেই না এবং গতকাল (বুধবার) সেখানে ত্রাণকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে, এটি কল্পনারও বাইরে।'
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষ্যে- 'আপনারা জানেন যে, কয়দিন আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে যুদ্ধবিরতির; সেই প্রস্তাবকেও তারা তোয়াক্কা করছে না।'
হাছান মাহমুদ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার যে কোনো যুদ্ধের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনি ভাইদের পাশে ছিল, আছে এবং থাকব।'
ফিলিস্তিন সংকটের দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান আবারও তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমরা মনে করি, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে- ৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে, পূর্ব জেরুজালেমকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠার মধ্যেই সেখানে শান্তি নিহিত। অন্যথায় সে অঞ্চলে কখনোই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না।'