পদ্মা সেতুর কল্যাণে ফল আমদানি বাড়ছে ভোমরা স্থলবন্দরে
প্রকাশ | ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
সাতক্ষীরা (কলারোয়া) প্রতিনিধি
দীর্ঘ তিন বছর পর সুদিন ফিরতে শুরু করেছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে। নানা জটিলতায় ২০২১ সাল থেকে ফল আমদানি শূন্যের কোঠায় থাকলেও সম্প্রতি তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। যার জন্য পদ্মা সেতু মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়াও বন্দরের ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের আন্তরিকতাও বড় ভূমিকা রেখেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বছর তিনেক আগে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ফল আমদানির ক্ষেত্রে ভোমরা বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো। কিন্তু কোভিড-১৯ পরিস্থিতির পর ২০২১ সাল থেকে ভোমরা বন্দর দিয়ে ফল আমদানি কমতে থাকে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টিআর ওজনে বাড়তি ছাড় না পাওয়ার জন্য তারা ধীরে ধীরে অন্য বন্দরের দিকে ঝুঁকে পড়েন। সেসব বন্দরে ওজন টেম্পারিং করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ফল আমদানি করা হতো। সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে ওজন টেম্পারিংয়ের কোনো সুযোগ আগে থেকেই ছিল না। সম্প্রতি পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হওয়ায় ঢাকা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব দেশের যে কোনো বন্দরের তুলনায় কাছে। একই সঙ্গে কলকাতা থেকেও কাছাকাছি এ বন্দরের অবস্থান। ফলে ব্যবসায়ীদের পরিবহণসহ আনুষঙ্গিক খরচ ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানির কারণে তুলনামূলক কম হয়। সরকারি রাজস্ব বেশি পরিশোধ করা হলেও পরিবহণসহ আনুষঙ্গিক খরচ কম হবার কারণে ব্যবসায়ীরা ধীরে ধীরে ভোমরা স্থলবন্দরের দিকে ঝুঁকে পড়েন।
একই সঙ্গে বেনাপোল বন্দরের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোলে সিরিয়াল জটিলতা ও তীব্র যানজটের কারণে আমদানিকারকরা ভারতীয় ফল ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানির জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
জানা গেছে, যে কোনো ধরনের পণ্য আমদানির সময় স্কেলে শুধুমাত্র বন্দর বা রাজস্ব কর্মকর্তারাই নন, শুল্ক গোয়েন্দার প্রতিনিধি, ডিজিএফআই প্রতিনিধি ও এনএসআই প্রতিনিধি থাকেন। যারা আমদানির ঘোষণা ও সার্বিক প্রক্রিয়া নজরদারি করেন।
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন বলেন, 'আমরা বন্দরের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। প্রায় ১০ হাজার মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন বন্দরের সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘদিন পর ভোমরা বন্দর দিয়ে ফল আমদানি সত্যি আশাব্যঞ্জক।'
এসব বিষয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মো. এনামুল হক বলেন, 'প্রতিদিনই ভোমরা বন্দরে আমদানি বাড়ছে, যা ইতিবাচক। এতে সরকারি রাজস্ব যেমনি বাড়ছে, তেমনি স্থানীয় শ্রমিকদেরও জীবনযাত্রার উন্নয়ন হচ্ছে।