আজকের যায়যায়দিন

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামে ঝড়ে ছিঁড়া তারে বিদু্যৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের ছয়জনের মৃতু্যর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে পলস্নী বিদু্যতের (পবিস) তিনজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া চাকরিচু্যত করা হয়েছে এক শিক্ষানবিশ কর্মচারীকে। পলস্নী বিদু্যতের মৌলভীবাজার আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বুধবার মৌলভীবাজার পলস্নী বিদু্যতের মহাব্যবস্থাপক এ বি এম মিজানুর রহমান জানান, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন- পূর্ব গোয়ালবাড়ী এলাকায় বিদু্যৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা পলস্নী বিদু্যতের বড়লেখা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক সোহেল রানা চৌধুরী, সহকারী মহাব্যবস্থাপক আশরাফুল হুদা ও জুড়ী কার্যালয়ের ইনচার্জ রেজাউল করিম তালুকদার। এছাড়া চাকরিচু্যত কর্মচারী হলেন- ওই অফিসের শিক্ষানবিশ লাইনম্যান মো. আশিক।

তিনি মুঠোফোনে বলেন, 'দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পলস্নী বিদু্যতায়ন বোর্ডের আরইবির পক্ষ থেকে প্রধান প্রকৌশলী বিশ্বনাথ শিকদারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির সদস্যরা সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।'

তিনি আরও জানান, পলস্নী বিদু্যতায়ন বোর্ডের (আরইবি) মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক একরামুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানানো হয়।

১৫ দিন ধরে গোপালগঞ্জের সঙ্গে ৫ জেলার নৌ চলাচল বন্ধ

উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামে রহমত আলী নামের এক ব্যক্তির জমিতে একটি টিনের ঘর বানিয়ে বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর ফয়জুর রহমান (৫০) পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাঁচ-ছয় বছর ধরে থাকতেন। তার ঘরের ওপর দিয়ে টানানো ১১ হাজার ভোল্টের বিদু্যৎ লাইন ছিল।

গত ২৬ মার্চ ভোরে ঝড় ও বজ্রপাতে বসতঘরের টিনের চালে বিদু্যতের তার ছিঁড়ে পড়ে ঘরটি বিদু্যতায়িত হয়ে পরিবারের ৫ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরদিন এ ঘটনায় আহত ফয়জুর রহমানের ছোট মেয়ে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোনিয়া আক্তার (১২) ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান।