তাহিরপুরে পাকতে শুরু করেছে আগাম জাতের ইরি-বোরো ধান। ধানের পাতায় সোনালি রঙ দেখে কৃষকের মনে যেমন আনন্দ দোল খাচ্ছে তেমনি মনে কিছুটা শঙ্কাও রয়েছে প্রাকৃতিক কোন বিপর্যয়ের। গত সপ্তাহের এক দফা শিলা বৃষ্টিতে কৃষকের মুখ কিছুটা ম্স্নান হলেও আগামী দিনগুলোতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ম্স্নান মুখের প্রতিচ্ছবি মিলিয়ে যাবে বিভিন্ন জাতের বোর ধানের বাম্পার ফলনে।
চলতি বছর এ উপজেলায় ২৩টি ছোট বড় হাওড়ে ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরোর বিভিন্ন জাতের ধান রোপণ করা হয়েছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হবে। উপজেলার শনি, মাটিয়ান, মহালিয়া, আঙ্গারুলি, পচাশোলসহ একাদিক হাওড় পারের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে বর্তমানে আগাম জাতের ধানগুলো পাকতে শুরু করেছে। সপ্তাহ দশ দিন পর বৈশাখ মাসের শুরু থেকেই পুরোদমে ধান কাটা মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করবেন হাওড় পারের কৃষকরা।
সরেজমিন শনির হাওড়ে গিয়ে দেখা গেছে, হাওড়ের প্রথমভাগে যে জমিগুলোতে ধান রোপণ করা হয়েছিল সেগুলো পাকতে শুরু করেছে। সে সময় কথা হয় উজান তাহিরপুর গ্রারেম কৃষক নাজমুল হুদার সঙ্গে। তিনি জানান, চলতি বছর তিনি ২০ একর জমিতে ইরি বোরো ধান চাষাবাদ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে গত সপ্তাহের শিলাতে কিছুটা ক্ষতি হয়। বৃহস্পতি অথবা শুক্রবার তিনি তিন একর জমির ব্রি-৬৭ ধান কাটবেন।
একই অবস্থায় রয়েছে আরও একাধিক কৃষকের ধান। তারাও দু-একদিনের মধ্যে কিছু ধান কেটে গোলায় উঠাতে পারবেন।
তাহিরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপসহককারী কৃষি কর্মকর্তা (শনি হাওড় বস্নকের দায়িত্বরত) শাহিমা আক্তার জানান, আগাম জাতের যে ধানগুলা রয়েছে সেগুলোই বর্তমানে পাকছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানউদ দৌলা বলেন, আগামী সাত থেকে দশ দিন পর কৃষক পুরোদমে ধান কাটতে পারবেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না। আমি একাদিক হাওড় ঘুরে দেখেছি এ বছর হাওড়ে বোর ফসল ভালো হয়েছে।