চৌগাছায় গবাদি পশুর খুরারোগের প্রাদুর্ভাব
প্রকাশ | ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের চৌগাছায় গবাদি পশুর খুরারোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে এক কৃষকের তিন গরুর মৃত্য হয়েছে। ওই কৃষকের আরও ৯টি গরু আক্রান্ত রয়েছে। গত শনিবার দুপুরে উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের বাড়িওয়ালী গ্রামের দিদার বক্সের ছেলে কৃষক মতিয়ার রহমানের ৩টি গরু মারা যায়। ওই কৃষকের আরও ৯টি গরু খুরা রোগে আক্রান্ত রয়েছে।
কৃষক মতিয়ার রহমান জানান, 'আমার পালিত ছোট-বড় ১২টি গরু ছিল। সম্প্রতি গরুগুলো খুরা রোগে আক্রান্ত হয়। শনিবার হঠাৎ আমার ৩টি গরু এ রোগের কারণে মারা যায়। এতে আমার প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমার এতগুলো গরু থাকলেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কেউ কোনো দিন আমার বাড়িতে আসেনি। বিভিন্নভাবে খবর দিলেও তারা আসে না।'
তিনি আরও বলেন, 'প্রাণী চিকিৎসকদের (পলস্নীপশু চিকিৎসক) পরামর্শে ভ্যাকসিন, টিকা ও ওষুধ ব্যবহার করেও খুরা রোগটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এলাকার গরু-ছাগল পালনকারী কৃষক ও খামারিরা। আমার খুরা রোগ আক্রান্ত বাকি গরু নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। গরুকে ভ্যাকসিনসহ ওষুধ দিয়েছি, তবে কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। প্রাণিসম্পদ বিভাগের লোকজন এসে আক্রান্ত গরুগুলোর চিকিৎসা দিলে হয়তো এ যাত্রা রক্ষা পেতাম।'
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, ভ্যাকসিন-ওষুধেও কাজ হচ্ছে না। বিষয়টি তাদের ভাবিয়ে তুলেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা চলছে। ইতোমধ্যে আক্রান্ত গরুর ভ্যাকসিন, টিকা ও ওষুধ পুশ করা হয়েছে। তাদের ধারণা এটি ক্ষুরা রোগের নতুন ধরন। তারা আক্রান্ত গরুর নমুনা কালেকশন করে ঢাকাতে পাঠিয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনোয়ারুল করিম বলেন, মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি, উঠান বৈঠক ও মেডিকেল ক্যাম্প করে রোগ প্রতিকার সম্পর্কে অবগত করা হচ্ছে। সাধারণত এফএমডি বা ক্ষুরা রোগের ধরন রয়েছে ৪টি। ধারণা করা হচ্ছে, এ উপজেলায় আক্রান্ত রোগটি ক্ষুরা রোগের নতুন ধরন।