গ্রামীণ নারী মানেই গৃহস্থালি কাজ, চার দেয়ালের মধ্যে আবদ্ধ থাকা। বর্তমানে গ্রামীণ নারীদের কাজকর্মে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। পুরুষের পাশাপাশি তারা সংসারে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করছেন, করছেন আয়ও।
একজন পুরুষ যেমন উপার্জন করে সংসার চালাচ্ছেন, তেমনি একজন কর্মঠ নারীর উপার্জনে চলছে সংসার। বগুড়ার সারিয়াকান্দির হিন্দুকান্দি গ্রামর শিল্পপাড়াসহ পুরো উপজেলায় এমনই ১ হাজারের মতো নারী পুরুষের পাশাপাশি বাঁশের পণ্য তৈরি করে সংসারে বাড়তি আয়ের পথ বেছে নিয়েছে।
আগের দিনের মতো বাঁশের জিনিসপত্র পস্নাস্টিকের পণ্যের ভিড়ে আর তেমন একটা বিক্রি হয় না। কিন্তু সেমাই পরিবহণের জন্য বাঁশের খাচির চাহিদা আছে ব্যাপক। ঈদের আগে তো এ চাহিদা বেড়ে যায় বহুগুণ।
ঈদের আগের এই সময়টায় লাচ্ছা সেমাই সাদা সেমাই পরিবহণের জন্য প্রয়োজন হয় বাঁশের খাচির। ওজন ভেদে এই খাচির দাম প্রতিটি ৩৫ থেকে ৫০ টাকা। একটি বাঁশ কিনে নেন ১৫০ টাকায় সেই বাঁশ থেকে ১০ থেকে ১৫টির মতো খাচি তৈরি হয় একজন ভালো কারিগর দিনে ১০ থেকে ১৫টি খাচি তৈরি করতে পারে। এসব খাচি বাড়িতে এসে পাইকারি কিনে নিয়ে যান ব্যবসায়ীরা।
খাচির কারিগর বলেন, বাপ দাদারা বাঁশ বেতের কাজ কাম করছে সেখান থেকেই এগুলো কাজ শিখছি। এখন তো আর বাঁশের অন্য জিনিসের চাহিদা নাই তবে এ খাচির ব্যাপক চাহিদা তাই এখন এগুলো বানায় বিক্রি করে সংসার চালাই। আলস্নাহ আমাকে ভালোই রাখছে।
আরেক কারিগর আমেনা বেগম বলেন,আগের এ কাজ শিখিনী বিয়ে হয়ে যখন এখানে আসি তখন শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাছে থেকে শেখা। এখন আমি এ কাজ করে ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার চালাতে পারছি দুটো ভালো মন্দ খাবার পাচ্ছি।
বাশের খাচির ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা বলেন, সরকারি সুযোগ সুবিধা বা সহজ শর্তে ঋণ পেলে আরও বেশি খাচি তৈরি করতে পারতো এই নারীরা। সংশ্লিষ্ট সবার সুনজরে এলে আর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতো।