সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কিডনি রোগে আক্রান্ত পত্রিকা বিক্রেতা ইদ্রিস আলীর বাঁচার আকুতি

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
কিডনি রোগে আক্রান্ত পত্রিকা বিক্রেতা ইদ্রিস আলীর বাঁচার আকুতি

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরের পত্রিকা বিক্রেতা ইদ্রিস আলী কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতু্যর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসা করতে পারছেন না অর্থের অভাবে। সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন সমাজের বিত্তবানদের কাছে। পত্রিকা বিক্রেতা ইদ্রিস আলী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের হড়হড়িয়া গ্রামের দিনমজুর মো. সামসুদ্দিন মন্ডলের ছেলে।

পত্রিকা বিক্রেতা ইদ্রিস আলী দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে ফুলবাড়ী পৌরশহরের দৈনিক পত্রিকা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। পত্রিকা বিক্রির আয়ে স্ত্রী ও দুই প্রতিবন্ধী কন্যাসহ চার সদস্যের সংসার চলে।

ইদ্রিস আলী জানান, প্রায় ছয় মাস আগে তার কিডনি রোগ ধরা পড়ে। এরই মধ্যে একটি কিডনি পুরোপুরি অকেজো হয়ে গেছে, আর একটি কিডনি প্রায় নষ্ট হওয়ার পথে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক। কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে পত্রিকা বিক্রি করতে পারেন না, বাড়িতেই শুয়ে-বসে দিন কাটছে তার। অর্থাভাবে চিকিৎসাও করতে পারছেন না। কোনো দিন অর্থ জোগার হলে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রের দুই-একটি ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল কিনে খাচ্ছেন। ইদ্রিস আলীর বড় মেয়ে ইরিনা আক্তার (১৭) বাকপ্রতিবন্ধী। আর ছোট মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার ইভা (১০) জন্ম থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধী। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় সংসার চালানো ও তার চিকিৎসার খরচ মেটানো দায় হয়ে পড়েছে। সহায় সম্বল যা ছিল, বিক্রি করে এতদিন চিকিৎসা খরচ জুগিয়েছেন। অনেক ধারদেনাও হয়েছে। দেনাও পড়েছে পত্রিকা এজেন্টের কাছে।

অসুস্থ ইদ্রিস আলীর স্ত্রী রাবিয়া বেগম বলেন, ইদ্রিস আলীর কিডনি রোগ ধরা পড়ার পর দুই দফায় ২২ দিন রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ ওষুধ কিনতে গিয়ে এক লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়ে গেছে। এরমধ্যে রংপুর গিয়ে কিডনি চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ সময় তার রক্ত শূন্যতা ধরা পড়ায় তাকে দুইদিন পর পর 'এ' পজেটিভ গ্রম্নপের রক্ত দিতে হচ্ছে। টাকার অভাবে বাড়িতেই চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়াসহ স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে রক্ত নিতে হচ্ছে।

ইদ্রিস আলী বলেন, চিকিৎসকরা তাকে ডায়ালাইসিস করতে বলেছেন। কিন্তু ডায়ালাইসিস করতে মাসে দুই লাখ টাকা লাগবে। ডায়ালাইসিস করার জন্য কোনো টাকা না থাকায় তার পক্ষে কোনো কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি না থাকলে তার প্রতিবন্ধী দুই মেয়ের ভবিষ্যৎ কি হবে এ নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই তার। এজন্য তিনি বাঁচতে চান। বাঁচার জন্য আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন।

পত্রিকা হকার ইদ্রিস আলী তার চিকিৎসার জন্য দেশের বিত্তবান দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। আর্থিক সহায়তা পাঠানো যাবে মো. ইদ্রিস আলী (বিকাশ নং-০১৭৩৭ ৬৮১৯৫৪ অথবা নগদ নং-০১৭৯৬ ১৭৭৮৯০)।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে