দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার বলগাড়ি হাট-বাজার এখন ময়লা আর্বজনার ভাগাড়। এ হাটে ময়লা-আবর্জনা ব্যবস্থাপনার দিকে কারও নজর নেই। হাট ইজারাদারের পরিষ্কার-পরিছন্নতা রাখার নিয়ম থাকলেও তা তিনি মানছেন না। এতে পরিবেশ দূষণে আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে এলাকার জনজীবন। যেকোনো সময় ছড়িয়ে পড়তে পারে ডেঙ্গুসহ নানা ধরনের ভাইরাসজনিত রোগ।
জানা গেছে, উপজেলার বলগাড়ি হাট-বাজার বাংলা ১৪৩০ সনে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে এক বছরের জন্য লিজ নেন মো. সাবু মিয়া। শর্ত অনুযায়ী ইজারাদার নিজ খরচে হাট বাজার পরিষ্কার-পরিছন্নতা রাখার নিয়ম থাকলেও তিনি তা মানছেন না। তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, মাছ বাজারে গরুর শেড তৈরি করে গরু লালন পালন করছেন সোহেল মিয়া। মাকসুদর রহমান নামে আর এক ব্যবসায়ী কাঠের আসবাবপত্র তৈরি কাজে ব্যবহার করছেন। পাইকারি কাঁচা বাজারে গড়ে তোলা হয়েছে ময়লার ভাগাড়, গোবরের পালা। হাট ইজারাদারের সহায়তায় পাইকারি কাঁচা বাজারে নুরুল হক ও মাকসুদুল গরু লালন পালনের কাজে ব্যবহার করছেন। স্থানীয় লোকজন এর পাশ দিয়ে হাঁটতে গিয়ে দুর্গন্ধের কারণে নাক চেপে ধরতে হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিছন্নতার কারণে হাটের একমাত্র পাবলিক টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও বাজারের পানি নিষ্কাশনের ড্রেনে ময়লা অবর্জনা ফেলার কারণে ভরাট হয়ে গেছে।
মুদি ব্যবসায়ী আইনুল ইসলাম বলেন, হাটের বিভিন্ন স্থানে আবর্জনা ময়লার স্তূপ। নোংরায় ভরা পুরো এলাকা নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম না চালানোর উৎকট গন্ধে টেকা দায়। তার মধ্যেই চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। এছাড়াও হাটের বিভিন্ন স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখা হচ্ছে।
হাট ইজারাদার সাবু মিয়া জানান, আমি নিয়মিত হাট বাজার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করছি, কোথাও ময়লা আবর্জনা নেই, আমার তো চোখে পড়ছে না। ময়লা আর্বজনা দেখাতে পারলে তা পরিষ্কার করে দেব।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, বলগাড়ি হাটের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবের বিষয়টি অবগত আছি। হাটের শর্ত অনুযায়ী ইজারাদের নিজ খরচে হাট বাজার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন। সরকারি নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলবেন। বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি বিষয়টি দেখভাল করার কথা। হাটের জায়গা কেউ যদি অবৈধ দখল করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।