বন্যহাতির ভয়ে আতঙ্কে কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকার বাসিন্দারা
প্রকাশ | ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
রাঙামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদু্যৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে বসবাসরত বাসিন্দারা এখন হাতির আক্রমণের ভয়ে আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন। সন্ধ্যা নামার পর পরই অজানা আতঙ্কে তারা রাত পার করছেন। এই বুঝি হাতি এসে আক্রমণ করল।
সর্বশেষ গত সোমবার রাতভর একটি বন্যহাতির দল কাপ্তাই বিদু্যৎ ভবন এবং কাপ্তাই বক্স হাউজ এলাকায় অবস্থান নেয় বলে জানান কাপ্তাই পানি বিদু্যৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক (নিরাপত্তা) সাখাওয়াত কবির। এ সময় আশপাশে বাসিন্দারা ভয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ঘরে অবস্থান নেন। তিনি আরও জানান, গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় বিদু্যৎ ভবনের পাশে একদল হাতি অবস্থান নেয়। পরে আমরা বাঁশি বাজিয়ে হই হুলেস্নাড় করে হাতির পালকে তাড়িয়ে দিই।
এর আগে গত ২৯ মার্চ দিবাগত রাত ৩টায় একদল হাতির দলের আক্রমণে কাপ্তাই বিদু্যৎ এলাকার বক্স হাউজে আনসার ব্যারাক ও অফিসার কোয়ার্টার লন্ডভন্ড হয় বলে জানান কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহাদাৎ হোসেন।
কাপ্তাই রাইট ব্যাংক এলাকার বাসিন্দা ফারহানা আহমেদ পপি ও মিজানুর রহমান রাসেল জানান, সোমবার ইফতারের পর নতুন বাজার যাওয়ার উদ্দেশে বের হলে বিদু্যৎ ভবনের নিচে হাতির সম্মুখীন হই। পরে আমরা হই হুলেস্নাড় করে হাতি তাড়াই। এ ঘটনায় আমাদের স্বাভাবিক জীবন চলাচল সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছি।
কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকার বাসিন্দা সুবল দাশ জানান, গত দুই দিন আগে চৌধুরীছড়া নিচের বাজার আমি হাতির সম্মুখীন হয়েছিলাম। একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে যাই।
কাপ্তাই পিডিবির স্টাফ বকুল জানান, একদিন আগে বিদু্যৎ ভবন ডিউটিরত অবস্থায় রাতে হাতির সম্মুখীন হই। পরে দৌড়ে গিয়ে বিদু্যৎ ভবনে ঢুকে আত্মরক্ষা করি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার আবু সুফিয়ান বলেন, বনের মধ্যে খাদ্য না থাকায় হাতি লোকালয়ে এসে তান্ডব করছে। আমরা অপরিকল্পিতভাবে বন কেটে জুম চাষ করছি, আবার কেউ কেউ বনের গাছ কেটে বন উজাড় করছি। ফলে হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে। তাই সবার উচিত হাতির আবাসস্থল যাতে ধ্বংস না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা।