পিঠাপুলি তৈরিতে ব্যস্ত গ্রামীণ নারীরা
প্রকাশ | ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে গ্রামীণ গৃহবধূরা পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এছাড়াও পরিবারের সকলের মধ্যে ঈদ-আনন্দ ভাগাভাগি করতেই এসব নকশি পিঠা তৈরি করা হয়ে থাকে। উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি ঘরে সাংসারিক নিয়মিত কাজ ছাড়া এখন আর বাড়তি কোনো কাজ নেই। তাই গ্রামীণ গৃহবধূ- কন্যারা ঈদের আগে থেকেই গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য নকশি পিঠাসহ অন্যান্য রকমারি পিঠা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এসব পিঠার মধ্যে রয়েছে নকশি পিঠা, জিলাপি পিঠা, পাতা পিঠা, শামুক পিঠা, ঝিনুক পিঠা, গোলাপ ফুল পিঠা, ঝিকিমিকি পিঠা, ভাতের পিঠা ইত্যাদি।
দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া রিয়া আক্তার জানান, ঈদকে সামনে রেখে বাড়ির অন্যান্য নারীদের নিয়ে তারা নানান জাতের পিঠা তৈরি করছেন। এসব পিঠা তৈরি করতে চালের গুঁড়া, পিঁড়ি, কাটার, বেলুন, খেজুর কাঁটা অথবা সুঁই, তেল, কলাপাতা, রঙ প্রভৃতি সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়।
ধুলজুরী গ্রামের গৃহবধূ রিনা জানান, সংরক্ষণের জন্য কাঁচা পিঠা কেউ কেউ রৌদ্রে শুকিয়ে রাখেন। আবার কেউ তেলে ভেঁজে সংরক্ষণ করে থাকেন। পরে এগুলোকে ঈদের আগের দিন রাতে অথবা ঈদের দিন সকালে তেলে ভেজে চিনি অথবা গুড়ের গরম শিরার মধ্যে ডুবিয়ে খাবারের উপযোগী করে পরিবেশন করা হয়ে থাকে। এছাড়াও মেহমান এলে তাদেরকে এসব পিঠা পরিবেশন করে সমাদর করা হয়।
সমাজসেবক জামাল উদ্দিন জানান, ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে পিঠা পুলি তৈরি গ্রামের পুরানো ঐতিহ্য। গ্রামের নারীরা মিলে ঈদের আগেই পিঠা বানায়। কিন্তু বর্তমানে চিপস জাতীয় পিঠার সহজ লভ্যতায় পিঠা তৈরির এসব রীতিনীতি হারাতে বসেছে।