প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতি, ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স এবং প্রাপ্ত ১% অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে অনাস্থাও চেয়েছে পরিষদের অন্য সদস্যরা।
রোববার বিকালে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ জন সদস্য স্বাক্ষরিত অনাস্থাপত্র জমা দেওয়া হয়।
অনাস্থাপত্রে ইউপি সদস্যরা উলেস্নখ করেন, তিনি অর্থবছরে ইউনিয়ন পরিষদ ট্যাক্স, ভূমি উন্নয়ন কর ও ট্রেড লাইসেন্স থেকে পাওয়া অর্থ এবং উপজেলা হইতে প্রাপ্ত ১% অর্থ কোনো প্রকার উন্নয়নমূলক কাজ না করে তা আত্মসাৎ করে আসছেন চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিকী।
উন্নয়ন তহবিল, কাবিখা, কাবিটা, টিআর, এডিপির প্রকল্পগুলো একক সিদ্ধান্তে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোনোটা আংশিক কোনোটা বাস্তবায়ন না করে অর্থ আত্মসাৎ করছেন।
এমন দুর্নীতিগ্রস্ত ও স্বেচ্ছাচারী ব্যক্তির সঙ্গে জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সুযোগ না থাকায় অনাস্থা জ্ঞাপন করেন ইউপি সদস্যরা।
এ বিষয়ে জানতে বার বার ফোন করেও ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান অনাস্থাপত্র প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যদের অনাস্থা প্রস্তাবটি পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।