সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আহত শতাধিক, ১২ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

শান্তিগঞ্জে ৫ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড ১২ গ্রাম

শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া বসতবাড়ি -যাযাদি

সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলায় হঠাৎ পাঁচ মিনিটের ঝড়ে ১২টি গ্রাম লন্ডভন্ড এবং ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এর মধ্যে দুই ইউনিয়নের প্রায় ১২ শতাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে ও বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে ঝড়ের কবলে পড়ে প্রায় শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং গুরুতদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ওই গ্রামগুলো হলো- জয়কলস ইউনিয়নের পাবর্তীপুর, কামরূপদলং, আস্তমা, সদরপুর ও পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের ইনাতনগর, রায়পুর, চন্দ্রপুর, কাদিপুর, কান্দিগাঁও ও শত্রম্নমর্দন গ্রাম। গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ প্রলঙ্করী ঘূর্ণিঝড় হয়।

সোমবার সকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সদরপুর, রায়পুর কামরূপদলং, চন্দ্রপুরসহ তার আশপাশ এলাকার বসতবাড়ি পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা, শান্তিগঞ্জ থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, শান্তিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাদাত মান্নান অভি, ইউপি চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার, শান্তিগঞ্জ প্রেস ক্লাব সভাপতি কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, সাধারণ সোহেল তালুকদারসহ প্রমুখ।

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শ্যামল দাস জানান, নদী ভাঙনের কবলে পড়ে ঘরবাড়ি হারিয়েছি। এখন ঘর নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেছি। আবারও ঝড়ের কবলে পড়ে আমার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার জানান, তার ইউনিয়নের ইনাতনগর, রায়পুর, কাদিপুর, কান্দিগাঁও ও শত্রম্নমর্দন গ্রামে প্রায় ৫০০ ঘর বাড়ি লন্ডভন্ড হয়েছে, গাছপালা ভেঙেছে বেশি।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইকবাল হাসান জানান, স্থানীয় পাগলা বাজারে অবস্থান করে সেহেরির সময় পর্যন্ত ঝড়ের কবলে পড়ে আহত ২৫ থেকে ৩০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সকালে হাসপাতালে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে হাসপাতালে ঝড়ের কবলে পড়ে আহত একজন অন্তঃস্বত্ত্বা নারী ও একজন পুরুষ রয়েছেন। গুরুতরদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে অনেকেই আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য পাগলা বাজারে রাতেই অস্থায়ী চিকিৎসা ক্যাম্প চালু করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে প্রায় ২৫০ জনের মতো রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের জন্য সাত থেকে আটটিম মাঠে কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রম্নত সরকারি চাল বিতরণ করা হয়। ঢেউটিনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃৃপক্ষ বরাবরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে