গৌরীপুরে জাপানের মিষ্টি আলু চাষে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে কৃষক শেখ সাদী

প্রকাশ | ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
জাপানের ওয়াকিনাওয়া জাতের মিষ্টি আলু চাষ করে এলাকায় বিপস্নব ঘটিয়েছে ময়মনসিংহের গৌরীপুরের কৃষক মো. শেখ সাদী। তার জমিতে উৎপাদিত এক একটি আলুর ওজন ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ গ্রাম পর্যন্ত। বাজারে চাহিদা ও দেশি আলুর চেয়ে দাম বেশি থাকায় আলু বিক্রি করে মুখে হাসি ফুটেছে এই কৃষকের। স্বল্প খরচ ও অল্প পরিশ্রমে ভালো লাভ পাওয়ায় এখন গ্রামের অন্যান্য কৃষকরাও এই আলু চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। জানা গেছে, কৃষক শেখ সাদীর বাড়ি উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের কড়মড়িয়া গ্রামে। প্রতিবছরই নানা জাতের ব্যতিক্রম সবজি ও কৃষি আবাদ করে এলাকায় তিনি আদর্শ কৃষক হিসেবে পরিচিত। একদিন ইউটিউবে জাপানের ওয়াকিনাওয়া জাতের মিষ্টি আলু চাষ দেখে, এই আলু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেন তিনি। এরপর যোগাযোগ করেন স্থানীয় কৃষি অফিসে। উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন জলির কাছ থেকে ওয়াকিনাওয়া জাতের মিষ্টি আলুর কাটিং সংগ্রহ করে জৈব সার, কীটনাশক ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেন কৃষক শেখ সাদী। এরপর গত বছরের ডিসেম্বরের মাসের মাঝামাঝি সময় বাড়ির পাশে ২০ শতক জমিতে ওয়াকিনাওয়া জাতের মিষ্টি আলু চাষ করেন। মার্চের মাঝমাঝি সময় জমি থেকে আলু উত্তোলন করেছেন শেখ সাদী। কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সঠিক পরিচর্যায় তার প্রতি শতক জমিতে চার মণ করে আলু উৎপাদন হয়েছে। এদিকে ওয়াকিনাওয়া জাতের আলু চাষের খবর পেয়ে স্থানীয় কৃষকরা যোগাযোগ করছে কৃষক শেখ সাদীর সঙ্গে। তারাও এই আলু চাষের জন্য তার কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন। স্থানীয় কৃষক হলুদ মিয়া বলেন, আমাদের দেশীয় জাতের মিষ্টি আলু আকারে ছোট। কিন্ত কৃষক শেখ সাদী বিদেশি যে জাতের মিষ্টি আলু চাষ করেছে, যার প্রতিটি আলুর ওজন হাফ কেজির ওপর। আমরাও এখন এই আলু চাষ করার চেষ্টা করছি। কৃষক শেখ সাদী বলেন, আমি সবসময় ব্যতিক্রম ও নতুন কৃষিপণ্য আবাদ করতে পছন্দ করি। এক দিন ইউটিউবে ওয়াকিনাওয়া জাতের আলুর চাষ দেখে স্থানীয় কৃষি অফিসে যোগাযোগ করি। কৃষি অফিস থেকে আমাকে এই ভ্যারাইটির মিষ্টি আলু চাষের জন্য একটি প্রদর্শনী দেয়া হয়। পরে কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সঠিক পরিচর্যা করে আমি জাপানি মিষ্টি আলুর ভালো ফলন ও বিক্রি করে ভালো দাম পেয়েছি। উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন জলি বলেন, ওয়াকিনাওয়া আলু সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। এই আলু এক একটির ওজন হাফ কেজি থেকে সর্বোচ্চ এক কেজির ওপরে হয়। আমরা প্রথমবারের মতো এই আলুর একটি প্রদর্শনীর শেখ সাদীকে দিয়েছি। ভালো ফলন হওয়ায় এখন অন্য কৃষকরাও আগ্রহ দেখাচ্ছে এই জাতের আলু চাষে।