ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি উপজেলা শাখা আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকারী শিক্ষক নেতা এবং শিক্ষকদের প্রায় সবাই তাদের বক্তব্যে জয় বাংলা বলে বক্তব্য শেষ করেননি।
বক্তাদের অধিকাংশই তাদের বক্তব্যে জাতীয় সেস্নাগান জয় বাংলা উচ্চারণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও ময়মনসিংহ-৫ মুক্তাগাছা আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য কৃষিবিদ মো. নজরুল ইসলাম এমপি।
শনিবার মুক্তাগাছা পৌর সাধারণ পাঠাগার মিলনায়তনে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিদায় ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, 'জয় বাংলা হচ্ছে বাঙালির সেস্নাগান, মহান মুক্তিযুদ্ধের সেস্নাগান, এখন আমাদের জাতীয় সেস্নাগান। অথচ আজকের এই অনুষ্ঠানে কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদে অধিকাংশ বক্তা তাদের বক্তব্যে জয় বাংলা সেস্নাগানটি উচ্চারণ পর্যন্ত করলেন না। মুক্তিযুদ্ধে চেতনায় সমৃদ্ধ জাতি গঠনে এমনটি কখনও কাম্য হতে পারে না।'
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম এমপি এক অর্ডারে এত বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের কথা উলেস্নখ করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং পরবর্তীতে তার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা খাত ও শিক্ষক সমাজের জন্য যা করেছেন তা এই ভূখন্ডে কোনো সরকারপ্রধান কখনও করেনি। তিনি শিক্ষকদের জাতি গঠনের মূল কারিগর উলেস্নখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি মুক্তাগাছা উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ, ব্র্যাক বিশ্ববিদলয়ের প্রফেসর ড. হারুন অর রশীদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবুল কাসেম, জেলা শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি জাহানারা খানম ও শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ স্বপন কুমার দাস। উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামালের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম খলিল, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষক নেতা রফিকুল ইসলাম মানিক, একেএম মাহফুজুর রহমান শামীম প্রমুখ।