মেহেরপুর-কুষ্টিয়া জরাজীর্ণ সড়কের সংস্কার কাজ চলছে পুরোদমে

প্রকাশ | ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও সংস্কার কাজ চলছে পুরোদমে। গত শুক্রবার গাংনী উপজেলার পোড়াপাড়া অংশে পাথর-বিটুমিনের আস্তরণ দেওয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ সড়কটি পেতে যাচ্ছে এক নতুন রূপ। এছাড়াও জনপ্রশাসন মন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় সদর উপজেলার একটি বড় অংশ ফোরলেনে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী পর্যন্ত পুরো সড়কটি ফোরলেনে উত্তীর্ণ হবে বলে আশার কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) তত্ত্বাবধানে মেহেরপুরের মেসার্স জহিরুল লিমিটেড এ সড়কের তিনটি প্যাকেজ বাস্তবায়ন করছে। মেহেরপুর কলেজ মোড় থেকে গাংনী উপজেলার তেরাইল কলেজ পর্যন্ত এ তিনটি প্যাকেজের কাজ পুরোদমে চলমান। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জরাজীর্ণ গাড়াডোব থেকে বাঁশবাড়ীয়া পর্যন্ত অংশে বিটুমিন ও পাথরের আস্তরণ দেওয়া শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। জানা গেছে, সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করছে মেসার্স জহিরুল লিমিটেড। আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে বিটুমিন ও পাথরের মিশ্রণ এবং যন্ত্রের মাধ্যমেই নির্মাণ করা হচ্ছে সড়ক। যার ফলে দ্রম্নত সম্পন্ন হচ্ছে সড়ক সংস্কার কাজ। সংস্কার কাজ তদারকিকালে মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী শাহীন মিয়া বলেন, 'বেজ কোর্সের কাজ চলমান আছে। এ কাজটি আমরা দুই লেয়ারে করে থাকি। যার থিকনেস ১১০ মিলিমিটার। এ কারণে এটি দুই লেয়ারে করতে হবে।' ঈদে ঘরমুখো মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সবচেয়ে বেশি জরাজীর্ণ অংশের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন করা হচ্ছে উলেস্নখ করে তিনি আরও বলেন, মেহেরপুর কলেজ মোড় থেকে কুষ্টিয়া ত্রিমোহনী পর্যন্ত চলমান এ সংস্কার কাজের মেহেরপুর জেলার অংশ প্রায় ৩০ কিলোমিটার। যার মধ্যে তিনটি প্যাকেজের কাজ পূর্ণগতিতে চলমান। কাজের গুণগত মান যথেষ্ট ভালো আছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এদিকে রাস্তা সংস্কার কাজ দ্রম্নত চলমান থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এ সড়কে চলচলকারীরা। ছোট বড় কয়েকটি যানবাহন চালক এ প্রসঙ্গে বলেন, সড়কটিতে যানবাহন চালাতে গিয়ে বেশ ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। তাছাড়া খানাখন্দে ভরা সড়কটি এক প্রকার দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবেই চিহ্নিত ছিল। সংস্কার কাজের মাধ্যমে রাস্তা যেমনি প্রশস্ত হচ্ছে, তেমনি কয়েক লেয়ারে পাথর ও বিটুমিনের আস্তরণে চলাচল হচ্ছে নির্বিঘ্ন। যা পথচারীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে। এদিকে মেহেরপুর কলেজ মোড় থেকে আলমপুর ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকা ফোরলেনে উত্তীর্ণ হচ্ছে। বিদ্যমান প্রকল্পে কলেজ মোড় থেকে গাংনীর দিকে প্রায় এক কিলোমিটার ফোরলেন ছিল। এছাড়াও গাংনী শহরে প্রায় চার কি.মি. এবং বামন্দী বাজারে প্রায় এক কি.মি. ফোরলেন রয়েছে। পরবর্তীতে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সদর উপজেলার পুরো অংশ ফোরলেনের অনুমোদন হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, জনপ্রশাসনমন্ত্রীর ডিও লেটারে এ অভাবনীয় কাজটি অনুমোদিত হয়েছে। শিগিরই এর নতুন টেন্ডার হবে। দ্রম্নততম সময়ের মধ্যে ফোরলেনের কাজটি শুরু হবে। তবে পর্যায়ক্রমে মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী পর্যন্ত পুরো সড়কটি ফোরলেনে উত্তীর্ণ হবে বলে আশার কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।