ওদের পরিবারে ঈদ আনন্দ ম্স্নান

প্রকাশ | ০১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
মেহেরপুরের গাংনীতে পূর্বশত্রম্নতার জেরে ফার্মের বৈদু্যতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মেরে ফেলার দেড় শতাধিক মুরগি -যাযাদি
দেড়শ' মুরগি বিক্রি করে ঈদের নতুন জামা-কাপড় কেনাকাটা করা ছাড়াও স্কুলের বেতন দেওয়ার কথা ছিল। আর বাকি টাকা দিয়ে আবারও নতুন করে মুরগির বাচ্চা কিনে ফার্মটাকে চালু রাখতাম, কিন্তু সেটি হলো না। আমাদের পরিবারের সবারই ঈদের আনন্দ ম্স্নান। ঘুরে দাঁড়াতেও অন্তত ছয় মাস সময় লাগবে। অশ্রম্নসিক্ত নয়নে এমনিভাবে আক্ষেপ করে কথাগুলো বলছিল স্কুলছাত্র হৃদয়। সে মেহেরপুরের গাংনীর পশ্চিম মালসাদহ গ্রামের টেপিপাড়ার হামিদুল ইসলামের ছেলে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে পূর্বশত্রম্নতার জেরে ফার্মের বৈদু্যতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেড় শতাধিক মুরগি পরিকল্পিতভাবে মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এমনি দাবি করেছে হৃদয়। হৃদয়ের বাবা হামিদুল ইসলাম জানান, নিজে ও ছেলে হৃদয় মিলে বাড়ির ছাদে একটা মুরগির ফার্ম দেন। এখান থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার ও ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ দেওয়া হতো। বাড়ির প্রাচীরের সঙ্গেই রয়েছে ফার্মের বৈদু্যতিক সংযোগ। দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে সেই বৈদু্যতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। সেই সঙ্গে কোনো গ্যাস ছেড়ে দেয় ফার্মে। ফলে গরমে সব মুরগি ক্রমান্বয়ে মারা যায়। মধ্যরাত থেকে মরতে থাকে মুরগি। মৃতপ্রায় কিছু মুরগি প্রতিবেশীদের দেওয়া হয়েছে। বাকি মুরগি মাটিতে পুঁতে ফেলা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। হৃদয়ের মা বেলি খাতুন জানান, অন্যদিনের মতো মধ্যরাত পর্যন্ত ছাদে মুরগির ফার্মে কাজ করা হয়েছে। তারপর ঘরে আসার কিছুক্ষণ পর মুরগির সাড়া-শব্দ না পেয়ে গিয়ে মুরগি মরতে দেখা যায়। কারো সঙ্গে শত্রম্নতা নেই, তবে জমিসংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে একজনের সঙ্গে। তিনিই এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী, এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।