ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনে সফলতা

প্রকাশ | ৩১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির রামগড়ে ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো সার) উৎপাদনে অনেকের মধ্যে সফল উদ্যোক্তা কৃষক কাজী আবুল কালাম আজাদ। রামগড় পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাজী মোহাম্মদ ইলিয়াসের ছেলে তিনি। এখন উপজেলার অনেক কৃষকের অনুপ্ররণা। বর্তমানে ২২০টি রিং থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৩ টন সার উৎপাদন করেন। কৃষি অফিসের সহায়তায় ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি করতে প্রয়াজনীয় ধারণা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে তার যাত্রা শুরু করেন। উদ্যোক্তা কাজী আবুল কালামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২০১৮ সালের শুরুর দিকে প্রথমে নিজের প্রয়োজনে স্বল্প কয়েকটি রিং বসিয়ে কাজ শুরু করেন। পরে নিজের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত অতিরিক্ত সার বিক্রি করেন। সারের গুনাগুনে কৃষকরা ভালো ফলন পাওয়ায় এর চাহিদা বেড়ে যায়। প্রচুর চাহিদা থাকায় বাণিজ্যিক চিন্তায় উৎপাদন বৃদ্ধি করতে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে ২২০টি রিং থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৩ টন সার উৎপাদন করেন। প্রকৃতির নাঙ্গল কেঁচো জমির উর্বরতা বাড়ায়। কেঁচো দ্বারা উৎপাদিত সার জমিতে ব্যবহার করলে ফসলের ভালো ফলন পাওয়া যায়। ফসলের গুন, স্বাদ ও মান ভালো থাকে। রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে দিন দিন জমিতে থাকা পোকা মাকড়সহ জমির উর্বরতা রক্ষাকারী কীটপ্রতঙ্গ মারা যায়। ফলে ভালো ফলন পাওয়া যায় না। কেঁচো সার ব্যবহার করলে উর্বরতা রক্ষাকারী পোকা মাকড়ের ক্ষতি হয় না। আবুল কালাম আরও বলেন, 'কৃষি অফিসের পরামর্শে ভার্মি কম্পোস্ট সার জমিতে ব্যবহার শুরু করি। এই সার ব্যবহারে আশানুরুপ ফলন পেয়েছি। তাই সার তৈরিতে আগ্রহ বেড়েছে। ভার্মি কম্পোষ্ট তৈরিতে খরচ কম। বিক্রি করে লাভ বেশি হয়। তৈরি করতে সময় লাগে বর্ষাকালে দুই থেকে আড়াই মাস, গ্রীষ্মকালে এক থেকে দেড় মাস। বর্তমানে দুইটি সেডে ২২০ রিংয়ের মাধ্যমে কেঁচো সার উৎপাদন করছি। প্রতি মাসে গড়ে ৩ টন সার উৎপাদন হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। সার বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, উপকরণ সহজলভ্যতা ও সময় কমের জন্য ভার্মি কম্পোস্ট দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ সার ব্যবহারে ফসলের পুষ্টিগুন বৃদ্ধি পায়। বাজারেও এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।