প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প বাগেরহাটে খাল খননের পর প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধভাবে বাঁধ ও পাটা দিয়ে মাছ চাষ করায় সুবিধা ভোগ করতে পারছেন না সাধারণ কৃষকরা। এক পর্যায়ে কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারি খালে দেওয়া অবৈধ বাঁধ ও নেট-পাটা অপসারণ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। খাল উন্মুক্ত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।
পর্যায়ক্রমে জেলার সকল খাল দখলমুক্ত করা হবে বলে জানান বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন। তারই অংশ হিসেবে বাগেরহাট সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম সাইফুলস্নাহ পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সদর উপজেলায় অবৈধ বাঁধ কাটা শুরু করেছে। বুধবার সকালে এ খবর পেয়ে স্থানীয় শতাধিক নারী-পুরুষ স্বতস্ফূর্তভাবে খালগুলোর অবৈধ বাঁধ অপসারণ কাজ শুরু করে।
স্থানীয় শশীখালী বিল সংলগ্ন কবিরাজের খাল, গরীবউলস্না ও পাচুয়াখালী নামে তিনটি খালের শতাধিক নেটপাটা ও কয়েকটি বাঁধ অপসারণ করা হয়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় খাল উন্মুক্ত হওয়ায় খুশি কৃষক ও স্থানীয়রা।
বিউটি বেগম নামে এক কৃষানী বলেন, 'খালগুলো প্রায় মৃত ছিল। দুই বছর আগে খাল খনন করা হয়। এরপরই অন্য এলাকার ক্ষমতাবান লোকজন খাল দখল করে মাছ চাষ শুরু করে। আমরা খালে নামতে পারতাম না, জমিতে পানি দিতে পারতাম না। আবার তাদের প্রয়োজনে ইচ্ছেমতো লবণ পানি ঢোকাতে। এখন বাঁধ কেটে খাল উন্মুক্ত করা হয়েছে, আমাদের অনেক সুবিধা হবে।'
জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, স্থানীয়দের আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনটি খালের বাঁধ ও নেট-পাটা অপসারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলায় যেসব খালে অবৈধ বাঁধ ও নেট-পাটা রয়েছে সেসব পর্যায়ক্রমে অপসারণ করা হবে। এজন্য সবাইকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন জেলার এই শীর্ষ কর্মকর্তা। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাগেরহাটে খাল খননের পর প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বাঁধ ও পাটা দিয়ে মাছ চাষ করায় পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছে না কৃষক।