ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার কৈচাপুর ইউনিয়নের জোকাবিলের কান্দা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্থাপনাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক এমদাদুল ইসলাম বাদী হয়ে জোকাবিলের কান্দা গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে জনি মিয়া, জিহাদ মিয়া ও একই গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে আমিনুল ইসলামের নাম উলেস্নখ করে আরও ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উলিস্নখিত ব্যক্তিগত জোকাবিলের কান্দা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি ভোগ দখলের চেষ্টায় স্থাপনাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ৪ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করে ও ৫০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক এমদাদুল ইসলাম বলেন, '৯৯৯-এ কল করে থানা পুলিশকে বিদ্যালয় ভাঙচুরের বিষয়টি অবগত করি। কিন্ত পুলিশ আসার আগেই সন্ত্রাসীরা বিদ্যালয়টি ভাঙচুর করে চলে যায়। উলিস্নখিত ব্যক্তিরা প্রায় দুই বছর ধরে ওই সম্পত্তির মিথ্যা ভিত্তিহীন মালিকানা দাবি করে বিভিন্নভাবে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা দায়ের করে হয়রানি করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সরকারি নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।'
স্থানীয়রা বলেন, বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন যাবৎ চলমান রয়েছে। কিছুদিন পরপর জনিগং বিদ্যালয়ের ক্ষতি সাধন করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়টি ভাঙচুর করে।
এ বিষয়ে জনি মিয়া মুঠোফোনে জানান, প্রায় দুই যুগ পূর্বে তার দাদা রেজিস্ট্রি দলিল মূলে বিদ্যালয়ের নামে জায়গা দিয়েছিলেন। কিন্তু সরকারিভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না হওয়ায় তারা বিদ্যালয়টি ভাঙচুর করেছেন। ওই ভূমির প্রায় ১৫ বছর ধরে তিনি খাজনা পরিশোধ করেছেন।
হালুয়াঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ মাহবুবুল হক জানান, '৯৯৯-এর মাধ্যমে বিদ্যালয় ভাঙচুরের সংবাদটি পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করি। ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার পূর্বেই কতিপয় ব্যক্তিরা বিদ্যালয়টি ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্ব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'