হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ থেকে পাহাড়পুর পর্যন্ত সড়কের ছয় কিলোমিটার অংশ ভাঙাচোরা ও গর্তে ভরা। সামান্য বৃষ্টিতেই সেখানে পানি আর কাদায় একাকার হয়। খানাখন্দের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
এ সড়ক দিয়ে উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের মানুষ উপজেলা সদরসহ জেলা সদর হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। প্রতিনিয়তই এসব লোকজন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
সরেজমিন জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ মুন সিনেমা হল থেকে পাহাড়পুর পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর শুরু থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার অংশ সম্প্রতি সংস্কার করা হয়েছে। সেখান থেকে পরের সাড়ে ৬ কিলোমিটার অর্থাৎ বদলপুর বাজার পর্যন্ত সড়কটি ভাঙাচোরা ও গর্তে ভরা।
সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মালবাহী ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ যানবাহন উপজেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে। কিন্তু সড়কটি কয়েক বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন স্থানে ঢালাই উঠে পাথরের খোয়া বের হয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার বিভিন্ন অংশে রড বের হয়ে আছে। বৃষ্টি হলে গর্তের মধ্যে পানি জমে থাকে। অনেক স্থানে গর্তের মধ্যে ছোট যানবাহন দুর্ঘটনা কবলিত হচ্ছে। দুর্ঘটনার শঙ্কায় যানবাহনগুলো চলাফেরা করে ধীরগতিতে।
অটোরিকশা চালক কুদরত আলী বলেন, 'আজমিরীগঞ্জ থেকে পাহাড়পুর পর্যন্ত সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হিলালপুর, পিরিজপুর, বদলপুর ও পাহাড়পুর বাজারে যাত্রী আনা-নেওয়া করি। রাস্তাটি ভাঙাচোরা হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। কয়েকদিনেই গাড়ির যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যায়।'
বদলপুর ইউনিয়নের বিদু্যৎ দাস জানান, কয়েকদিন আগে তার স্ত্রীর প্রসব ব্যথা উঠলে কাটাখালী গ্রাম থেকে একটি ইজিবাইকে উঠে উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। ভাঙাচোরা রাস্তায় ঝাঁকুনির কারণে তিনি গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়েছিলেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী তানজির উলস্নাহ সিদ্দিকী বলেন, আজমিরীগঞ্জ-পাহাড়পুর রাস্তার দুই কিলোমিটার অংশ সম্প্রতি সংস্কার হরেছে। বাকি ৬ হাজার ৬০০ মিটার অর্থাৎ সাড়ে ছয় কিলোমিটারের বেশি মেরামতের জন্য ২ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায়।