সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে দিরাই সড়কের মুখ (মদনপুর) থেকে দিরাই পর্যন্ত আঞ্চলিক পথের দূরত্ব প্রায় ২৬ কিলোমিটার। এ সড়কের প্রয়োজনীয় অংশ সংস্কার করা হচ্ছে। কাঠইর, শান্তিগঞ্জ উপজেলার বৌগলারখাড়া ও দরগাপুরে নির্মাণ করা হচ্ছে তিনটি আরসিসি সেতু। নোয়াখালী, গণিগঞ্জ, পাথারিয়া ও দিরাই বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাজারগুলোর সড়কে আরসিসি ঢালাই করা হচ্ছে।
তবে নির্মাণাধীন এই সড়কের শান্তিগঞ্জ উপজেলার নোয়াখালী বাজার এলাকায় ভয়ংকর এক দৃশ্যের দেখা মিলেছে। বাজারের মূল সড়কে চলছে আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ। সড়কের মধ্যে ১০টি বিপজ্জনক বৈদু্যতিক খুঁটি রেখেই ইতোমধ্যে সিংহভাগ ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করেছে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। যা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন এ পথে চলাচলকারী যানবাহন চালক, পথচারী, বাজারের ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী সমিতির লোকেরা।
তারা মনে করছেন, অপরিকল্পিতভাবে রাখা সড়কের মাঝখানের এসব বৈদু্যতিক খুঁটির কারণে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সারেজমিনে দেখা যায়, শান্তিগঞ্জ উপজেলার নোয়াখালী বাজারে দিরাই-মদনপুর সড়কের নোয়াখালী বাজার অংশের আনুমানিক ১০০ মিটারের মধ্যে চলছে আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ। বেশির ভাগ অংশে ঢালাইয়ের কাজ শেষ হলেও, দক্ষিণ দিকে রড বাঁধাইয়ের কাজ চলছে। সড়কের ১০ অংশে বৈদু্যতিক খুঁটি রেখে ঢালাই দেওয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জ বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু নুয়মান বলেন, 'খুঁটিগুলো দ্রম্নত সরানো উচিত। কিন্তু টাকা না পেলে আমরা কীভাবে সরাব। আগে টাকা পাই, তারপর টেন্ডার করব। অনেক দিন ধরেই আমরা সওজকে বলে আসছি, তারা অর্থ ছাড় দিলেই আমরা টেন্ডার আহ্বান করব। জুন মাসের মধ্যেই সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব।'
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রাং বলেন, 'খুঁটি সরানো একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। সড়ক ঢালাইয়ের সময় এত সময় আমাদের হাতে ছিল না। যদি সময় নিতাম তাহলে ওয়ার্ক ওর্ডারের সময় চলে যেত। এজন্য খুঁটি রেখেই ঢালাই দিয়েছি। তবে খুঁটির নিচের অংশ খালি রেখেছি। খুঁটি তোলার পর আবার ঢালাই দিয়ে ভড়াট করে দেওয়া হবে। খুঁটিগুলো সরানোর জন্য পিডিবিকে বলেছি। তারা ইতোমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।'