আয়কর প্রত্যাহার, রুটিন পরিবর্তন ও হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
প্রকাশ | ২৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
স্বদেশ ডেস্ক
রংপুরে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারে বিড়ি শ্রমিকদের, নওগাঁয় পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের এবং পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর-
রংপুর প্রতিনিধি জানান, বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চল বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর নগরীর কালেক্টরেট সুরভি উদ্যানে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হারিক হোসেন, সহ-সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, লুৎফর রহমান, জামিল আক্তার, আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল গফুর, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ইসলাম প্রমুখ।
নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার নওগাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা শহরের মুক্তির মোড়ে এ মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিফাত হোসেন, আরমান মন্ডল, বরকত মোলস্না, শাকিল, আরিফ, রিয়া, তামান্নাসহ অন্যরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ১৯ মে থেকে শুরু হবে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা। যেখানে রুটিনে প্রত্যেক পরীক্ষার মধ্যে একদিন করে ছুটি রয়েছে। অথচ যেকোনো পরীক্ষা নিতে দেড় থেকে দুই মাস সময় বরাদ্দ থাকে। কিন্তু সেশনজট কমানোর নামে শিক্ষার্থীদের জীবন হুমকির মুখে ফেলে দিতে চায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই দ্রম্নত পরীক্ষার প্রকাশিত রুটিন পেছানোসহ প্রত্যেক পরীক্ষার মাঝে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ দিন করে ছুটির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি জানান, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় লাইফ কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ছেলের সামনে চিকিৎসারত অসুস্থ মা মারধরের শিকার হয়েছেন। গত মঙ্গলবার বিকালে হাসপাতালের হামলাকারীদের শাস্তি ও লাইফ কেয়ার হাসপাতাল বন্ধের দাবিতে পৌর শহরে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা।
মানববন্ধনে বক্তরা অভিলম্বে সেবাহীন হাসপাতালটি বন্ধের আহ্বান জানান এবং হামলাকারীদের শাস্তি দাবি জানানো হয়। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে তারা জানান।