সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গাংনীতে শসা চাষিদের জন্য আশীর্বাদ রমজান মাস

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
  ২৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
গাংনীতে শসা চাষিদের জন্য আশীর্বাদ রমজান মাস

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার শসা চাষিদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে রমজান মাস। বাজার দর বৃদ্ধি পেয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় হাসি ফুটেছে এসব শসা চাষির মুখে। ১০ টাকা দরের শসা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। এমন দামে ভোক্তারা অসন্তোষ প্রকাশ করলেও চাষি আর ব্যবসায়ীরা বেশ খুশি।

গাংনীর বামন্দি কাঁচা বাজারের আড়তদার আব্দুল হালিম জানান, রমজানের দশদিন আগে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হয়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা দরে। শসা কেনার লোকও পাওয়া যায়নি। ফলে শসা পচে গেছে। কিন্তু রমজানের শুরু থেকেই শসার চাহিদা বেড়েছে আশংকাজনক হারে। সেই সঙ্গে বেড়েছে দামও।

শাহারবাটি গ্রামের সবজি চাষি মকসেদ আলী জানান, শসা বর্তমানে গাংনীর চাষিদের কাছে একটি জনিপ্রয় শস্য। রমজানের আগে শসা কম দামে বিক্রি করে শ্রমিক খরচ হয়নি। রমজানে শসা চাষিদের কপাল খুলেছে। শসা এখন আড়তে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে। আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি শসা ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জোড়পুকুর গ্রামের শসা চাষি ইমারুল জানান, যে ব্যবসায়ীরা শসা কেনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন তারাই এখন শসা কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন চাষিদের কাছে। বাজার চড়া হওয়ায় এখন একই সঙ্গে চাষি এবং ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন। একই কথা জানালেন শসা চাষি কুঞ্জনগরের আব্দুল হাকিম। ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, রমজানের আগে শসা কিনে মোটা অংকের লোকসান গুনেছেন। কিন্তু রমজান মাস আসায় চাহিদা বেড়ে গেছে। ফলে বাজার দরও বেড়েছে। এখন আগের লোকসান অনেকটায় কাটিয়ে উঠেছেন। এদিকে, ক্রেতা সাধারণ জানান, রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা দরকার। ১২ টাকার শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। এটা চাষি ও ব্যবসায়ীদের স্বেচ্ছাচারিতা। সাধারণত ৫-১০ টাকা দাম বাড়লেও ক্রেতা সাধারণের নাগালের মধ্যে থাকে। কিন্তু ৫-৬গুণ মূল্য বৃদ্ধি যেন মরার উপর খাড়ার ঘাঁ।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, তিনি দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বিভিন্ন বাজারে আড়তদার, ব্যবসায়ী এবং চাষিদের সঙ্গে কথা বলছেন। ইতোমধ্যে আশানুরূপ সাড়া মিলেছে। কেউ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে