ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ঘূর্ণিঝড়ে পাচুড়িয়া ও বানা ইউনিয়নের অন্তত ২২টি গ্রাম লন্ডভন্ড হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ে শতাধিক কাঁচা-পাকা বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদু্যতের তার ছিঁড়ে অন্ধকার হয়ে যায় দুটি ইউনিয়নের অন্তত ২২টি গ্রাম।
পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আমিনুর রহমান বলেন, বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, পাকুড়িয়া, টাবনী, টোনাপাড়া, শিয়ালদি চরপাড়া, জয়দেবপুর, আউশির হাট, কঠুরাকান্দি, মাজপাড়া, আড়পাড়া এবং পাচুড়িয়া ইউনিয়নের যুগীবরাট, ভাটপাড়া, চাঁদড়া, পাচুড়িয়া, দেউলি, চরনারানদিয়া, ধুলজুড়ি, চরভাটপাড়া গ্রামে ঝড় আঘাত হানে। ঝড়ে কাঁচা-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, পেঁয়াজ, রসুন, মসুরি, ধনিয়া, ধান, গমসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদু্যতের তার ছিঁড়ে গ্রামগুলোতে বিদু্যৎ সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেছে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, বুধবার রাত দেড়টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক কাঁচা-পাকা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে ও কয়েকশ' গাছপালা উপড়ে গেছে। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিয়েছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।
