শিক্ষকের বেতন-ভাতা বন্ধে মাউশির সুপারিশ
প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ডিপেস্নামা ইন লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সাইন্স সনদ জাল প্রমাণিত হওয়ায় থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আঞ্জুমান আরার বেতন-ভাতা বন্ধে সুপারিশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহম্মেদ স্বাক্ষরিত পত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মো. তৈয়ব আলী।
আঞ্জুমান আরা থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৫ সালে ডিপেস্নামা ইন লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সাইন্স সনদ দিয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকরি নেন (ইনডেস্ক নম্বর- ১১২৮৩৬৭)। দীর্ঘ ৯ বছর যাবত বেতন-ভাতাও উত্তোলন করছেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্তে জানা যায়, আঞ্জুমান আরা চাকরি নিতে ডিপেস্নামা ইন লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সাইন্সের যে সনদটি দিয়েছেন, সেটি প্রকৃতপক্ষে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আহাম্মদ আলীর মেয়ে আঞ্জুমান আরার। যার রোল নম্বর- ২০১২০১২, রেজি. নম্বর- ১২০০০১৬, সেশন ও পাসের সন ২০১২। শুধুমাত্র নামের মিল থাকায় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ওই সনদপত্রটি দিয়ে চাকরি নেন শামস পাড়া এলাকার নজির হোসেনের মেয়ে আঞ্জুমান আরা।
শামস পাড়া এলাকার ফারদিন হাসান ফাহিম নামে এক অভিযোগকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাউশি কর্তৃক তদন্তে সনদপত্র জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় জাল সনদে এমপিওভুক্ত হওয়ায় জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর ১৮.১ (৪) ধারা অনুযায়ী, তার বেতন-ভাতাদি বন্ধে সুপারিশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহম্মেদ স্বাক্ষরিত পত্রটি চলতি মাসের ১৩ মার্চ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হলেও ২৬ মার্চ পত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক তৈয়ব আলী।
থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৈয়ব আলী বলেন, মোছা. আঞ্জুমান আরার বেতন-ভাতাদি বন্ধের চিঠির আলোকে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তাহের বলেন, ওই শিক্ষকের সনদ জালিয়াতির বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় অধিদপ্তর কর্তৃক বেতন-ভাতাদি বন্ধে সুপারিশ করা হয়েছে। অধিদপ্তরের চিঠির আলোকে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।