কুড়িগ্রামের রাজারহাটে রমজান মাসে দুই দফা (ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) টিসিবির পণ্য দেওয়ার কথা থাকলেও একবারও পায়নি সুফলভোগীরা। টিসিবির ডিলাররাও জানেন না কবে সরবরাহ করবে টিসিবির পণ্য। বুধবার দুপুর পর্যন্ত টিসিবির মাল সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। ফলে ২৪ হাজার উপকারভোগী টিসিবির পণ্য ক্রয় সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজারহাট সদর ইউনিয়নে ৪ হাজার ৭৬ জন, চাকিরপশার ইউনিয়নে ৪ হাজার ৩১১ জন, উমরমজিদ ইউনিয়নে ৩ হাজার ৫৪৫ জন, ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নে ৩ হাজার ৩৮৯ জন, বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে ২ হাজার ৪৯৬ জন, নাজিমখান ইউনিয়নে ২ হাজার ৮০৪ জন ও ছিনাই ইউনিয়নে ৩ হাজার ৩৬৯ জন উপকারভোগী টিসিবির কার্ডধারী রয়েছে। রমজানের শুরু ও মাঝ সময়ে দুই বার করে ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল, ১০০ টাকা লিটার দরে দুই কেজি সয়াবিন তেল, ৬০ টাকা কেজি দরে দুই কেজি মসুর ডাল, ৫৫ টাকা কেজি দরে এক কেজি ছোলা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু কবে পাবে ভোক্তারা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে। টিসিবির ডিলাররাও বলতে পারছে না কবে পণ্য হাতে পাবে এবং ভোক্তাদের কাছে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করবে। অথচ পাশের উপজেলা কুড়িগ্রাম সদরে সঠিক সময়ে ডিলাররা টিসিবির পণ্য বিক্রি করে আসছেন।
উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের চাকিরপশার পাঠক গ্রামের টিসিবির কার্ডধারী সোলায়মান আলী বলেন, সব জায়গায় টিসিবির মাল বিতরণ শেষ হলেও রাজারহাটে এখনো শুরু করতেই পারেনি ডিলাররা। বাজারে প্রতিটি জিনিসের কয়েকগুণ দাম বেড়েছে। টিসিবির মাল পেলে কিছুটা স্বস্তি পেতাম।
\হচাকিরপশার তালুক গ্রামের চন্দ্রকান্ত ধনি বলেন, হাতে তেমন টাকা কড়ি নেই, বাজারে চালের দামসহ প্রতিটি জিনিসের দাম বেশি। টিসিবি ৫ কেজি করে চাল দেয়, পেলে উপকার হতো।
ইউএনও খাদিজা বেগম বলেন, 'আমি সবেমাত্র এসেছি। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।'
টিসিবির রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, রমজান মাসে দুই বার টিসিবির পণ্য দেয়ার কথা। কিন্তু সয়াবিন তেলের সংকটের কারণে যথাসময়ে দিতে পারছি না। তবে এ সপ্তাহে দেয়ার কথা রয়েছে।