চাঞ্চল্যকর অন্তর হত্যা :তিনজনের ফাঁসি ও ৩ জনের যাবজ্জীবন
প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের নগরকান্দার তালমার চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র আলাউদ্দিন মাতুব্বর অন্তর (১৪) হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসি ও আরও তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এতে মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের অন্য ধারায় যাবজ্জীবন, বাকি আসামিদের একটি ধারায় ১৪ বছরের ও অপর একটি ধারায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং সর্বমোট এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়ার সময় লিফটের মধ্যে আসামিরা পরস্পর মারামারিতে লিপ্ত হন।
রায়ে মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নগরকান্দার চরমানিকদি গ্রামের হাবিব বেপারির ছেলে মাহাবুব আলম, পিপরুল গ্রামের আলতাফ মাতুব্বরের ছেলে কামাল মাতুব্বর ও দক্ষিণ বিলনালিয়া গ্রামের মোবারক মাতুব্বরের ছেলে খোকন মাতুব্বর।
এ ছাড়া এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পাগলপাড়া গ্রামের দুলাল শেখের ছেলে আশরাফ শেখ ও আজিজুল শেখ এবং দক্ষিণ বিলনালিয়া গ্রামের আক্তারুজ্জামানের ছেলে সুজন মাতুব্বর।
রায় ঘোষণার সময় আজিজুল শেখ ছাড়া বাকি পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ পাহারায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৭ জুন রাতে তারাবির নামাজ পড়ার জন্য বাসা থেকে বের হওয়ার পর অপহরণ করা হয় ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের চর মানিকদী পাগলপাড়া গ্রামের প্রবাসী আবুল হোসেন মাতুব্বরের অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া ছেলে আলাউদ্দিন মাতুব্বর অন্তরকে। পরদিন এ ঘটনায় অন্তরের মা জান্নাতি বেগম নগরকান্দা থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন। ওই রাতেই জান্নাতির মোবাইলে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
১৪ জুন পুলিশের উপস্থিতিতে একটি ইরিবস্নকের মেশিনঘরে অপহরণকারীদের এক লাখ ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ১৫ জুন অন্তরের মা ১৬ জনের নামোলেস্নখ করে নগরকান্দা থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলা নম্বর-১৪।
এরপর ২২ জুন ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে অন্তরের পরিবারের সংবাদ সম্মেলন করে। পরেরদিন পত্রপত্রিকায় এ খবর ছবিসহ প্রকাশের পর ২৪ জুন পুলিশ মুক্তিপণ দাবিকৃত মোবাইলের মালিক মাহবুব আলম ও তার ভাই জুবায়ের বেপারিকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ২৬ জুন রাতে পুলিশ চকের মধ্যে উল্টো করে পুঁতে রাখা আলাউদ্দিন মাতুব্বর অন্তরের লাশ উদ্ধার করে।