গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নের বদনীভাঙ্গা গ্রামে পুলিশের দুই সদস্যকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় আরও দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তারের এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার ঘেরাবুনিয়া গ্রামের আ. সোহবানের ছেলে মো. আবু তালেব (৩৫) ও মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আউলিয়ারচর গ্রামের কানছ বেপারীর ছেলে মো. রমজান (২৪)।
শ্রীপুর থানার এসআই মোহাম্মদ রৌশন আলী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামিদের অবস্থানের তথ্য জানতে পারেন তারা। পরে আসামিদের ধরতে রাজধানীর জুরাইন এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে আবু তালেবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় পাঁচটি ডাকাতি মামলা আছে। অন্যদিকে অন্য একটি সূত্র ও গ্রেপ্তার আসামির দেওয়া তথ্য মতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুলস্না থানার আলীগঞ্জ এলাকায় পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে আসামি মো. রমজানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধেও দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি মামলা আছে। এ ছাড়াও এই দু'জন জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবার ডাকাতি শুরু করেছিল।
শ্রীপুর থানার ওসি আকবর আলী খান বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়। আসামিরা ওই দিনের ডাকাতি ও পুলিশকে মারধরের বিষয়ে গাজীপুর আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ফারুকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ চলমান।
উলেস্নখ্য, গত ৩ মার্চ শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নের মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের বদনীভাঙ্গা হাসিখালি সেতুর কাছে একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ঘটনাস্থলে যায় শ্রীপুর থানার এসআই আলিমের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল। সেখানে পৌঁছা মাত্রই ডাকাতরা তাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।