'জয় বাংলা-জয় হিন্দ' স্স্নোগানে মুখরিত আখাউড়া স্থলবন্দরের শূন্য রেখা

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও আখাউড়া প্রতিনিধি
গাজীপুরে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় অতিথিরা -যাযাদি
২৬ মার্চ বাংলাদেশের ৫৩তম মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের শূন্য রেখার বিজিবি-বিএসএফ জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের চৌকস দল প্যারেড ও সালাম প্রদান করে। এ সময় সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে একসঙ্গে দুই দেশের পতাকা নামানো হয়। পতাকা নামানো শেষে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিএসএফের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেওয়া হয়। এক দিকে 'জয় বাংলা', অন্যদিকে 'জয় হিন্দ' স্স্নোগানের মধ্য দিয়ে আয়োজনের শেষ হয়। অনুষ্ঠান দেখতে বাংলাদেশের প্রান্তে থাকা উপস্থিতি জয় বাংলা, ভারতের প্রান্তে থাকা উপস্থিতি জয় হিন্দ স্স্নোগান দিলে অন্যরকম আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিজিবি ও বিএসএফ পতাকা নামানোর বিষয়ে একে অপরের আনুষ্ঠানিক অনুমতি নেন। এরপর পতাকা নামানোর প্রস্তুতি হিসেবে প্যারেট অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিউগলের সুরে বিজিবি ও বিএসএফ নিজ নিজ দেশের পতাকা নামান। সবশেষে উপস্থিত দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে কুশল বিনিময় করেন। বিএসএফের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেয় বিজিবি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিজিবি কুমিলস্না সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল শরীফুল ইসলাম মেরাজ সাংবাদিকদের বলেন, দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। কুমিলস্না অঞ্চলে সাম্প্রতিককালে কোনো সীমান্ত হত্যা নেই। মাদক পাচারের যে সমস্যা আছে সেটা দূর করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। এত বড় সীমান্তে বিজিবির একার পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব না। এ সময় বিএসএফ ৪২ ব্যাটালিয়নের কমানডেন্টের প্রতিনিধি গানেট সিং ভারতবাসীর পক্ষ হতে স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের মানুষকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, 'এটা দেখে খুব ভালো লাগছে যে, বাংলাদেশ দিন দিন উন্নতি করছে। আমরা আশা করি বাংলাদেশ স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করবে।' এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজিবি কুমিলস্না সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. শরিফুল ইসলাম মেরাজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ৬০ বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উলস্নাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এস এম শান্তুনু চৌধুরী, বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উলস্নাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম শান্তুনু চৌধুরী, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার, বিএসএফ ৪২ ব্যাটালিয়নের কমানডেন্টের প্রতিনিধি গানেট সিং প্রমুখ। এ সময় বিএসএফ-বিজিবির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান দেখার জন্য দুই দেশের সাধারণ মানুষকে শূন্য রেখায় আসার সুযোগ করে দেওয়া হয়।