বাঘারপাড়ায় ২শ' শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পেল জাতীয় পতাকা
প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
বাঘারপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি
ঘড়ির কাটায় ৯টা বাজতে ৫ মিনিট বাকি। ঠিক তখনই সাদা পাইপে লাল সবুজের পতাকা নিয়ে মাঠে হাজির হলেন কয়েকজন শিক্ষক। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা দুইশ' শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হাতে বিলিয়ে দিলেন পতাকাগুলো। মাঠজুড়ে বাতাসে দুলতে থাকে মুক্তিযুদ্ধের বাহক জাতীয় পতাকা।
গত মঙ্গলবার মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পতাকার সঠিক মাপ, সঠিক রং সম্পর্কে সচেতনতা ও জাতীয় পতাকার প্রতি ভালোবাসা তৈরি করতে ব্যতিক্রম এই উদ্যোগ নেন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা তান্নী। মহতি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এদিন সকালে বাঘারপাড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী হাজির হয়। এ সময় উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের হাতে সঠিক মাপ ও সঠিক রঙের পতাকা তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হক বাবুল। এ সময় পতাকা হাতে শিক্ষার্থীদের উলস্নাস করতে দেখা যায়। বিরাজ করে এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
ইউএনও হোসনে আরা তান্নী বলেন, 'প্রায় সময়ই দেখা যায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের ইচ্ছামতো আকার এবং যথাযথ রং ব্যবহার করা হয় না পতাকায়। অনেক প্রতিষ্ঠানে বিবর্ণ, ময়লা পতাকাও উত্তোলন করা হয়। শিক্ষার্থীরা যেন সঠিক মাপ ও সঠিক রঙের পতাকা দেখেই জাতীয় পতাকার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে এবং সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেন সঠিক মাপের ও সঠিক রঙের পতাকা শোভা পায় সেজন্যই আমাদের এই আয়োজন।'
সংসদ সদস্য এনামুল হক বাবুল বলেন, 'এই পতাকার জন্য আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিল। দুই লাখ মা-বোন ইজ্জত দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পতাকার জন্য যে যুদ্ধ হয়েছিল, সেই পতাকার সম্মান দেখানোর জন্য বাঘারপাড়া উপজেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।'
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়াররম্যান ভিক্টোরিয়া পারভীন সাথী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মোল্যা ও বিথিকা বিশ্বাস, পৌর মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চু, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।