মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দম্পতির এক টাকার হোটেলে স্বস্তি মিলছে রোজাদারদের

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
  ২৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
দম্পতির এক টাকার হোটেলে স্বস্তি মিলছে রোজাদারদের

দ্রব্যমূল্যের টানা ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। রমজানে তা যখন আরও লাগামহীন তখন রোজাদারদের স্বস্তি দিচ্ছে এক দম্পতির এক টাকার হোটেল। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনই এক ইফতার-

খাবার হোটেলের সন্ধান মিলেছে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ফরিদপুর গ্রামে। ওই গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য জুয়েল মিয়া ও তার স্ত্রী লিপি বেগম পরিচালনা করছেন হোটেলটি। সেখানে এক টাকায় পাওয়া যায় পিয়াজু, ডাল পুরী, বেগুনি ও আলুর চপ। এছাড়াও রয়েছে খেজুর, ছোলাবুট ও বুন্দিয়াসহ নানা ধরনের ইফতার আইটেম। স্বল্পসময়ে ব্যতিক্রম- সেবাধর্মী হোটেলটির সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ছে জেলাজুড়ে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। শুধু ইফতারিই সামগ্রীই নয়, অর্ধেক মূল্যে এখানে পাওয়া যায় রুটি, পরোটা, চিকেন সামুচা, চিকেন বিরিয়ানি, এবং তন্দরী চা। এসবের মধ্যে খেজুর ছাড়া সব আইটেম নিজ হাতে তৈরি করেন লিপি বেগম। ওই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কদ্দুস মিয়া, আলেফা বেগম বলেন, এখানে প্রতি পিস পেঁয়াজু, আলুর চপ, বেগুনির মতো খাদ্যপণ্য পাওয়া যায়, যা এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য আশীর্বাদ।

লিপি বেগম বলেন, আমরা যেহেতু কমমূল্যে খাবার-ইফতার সামগ্রী বিক্রি করি। আমাদের সবসময় চেষ্টা থাকে মানুষকে টাটকা এবং সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা। যাতে মানুষ খেয়ে তৃপ্তি পায়। জুয়েল মিয়া বলেন, আমরা যেহেতু নিজেরাই সব কাজ করি। তাই কমমূল্যে খাবার বিক্রিতে লাভ কম হয়, কিন্তু লোকসান গুনতে হয় না। আমাদের লক্ষ্য ব্যবসার পাশাপাশি মানুষের সেবা করা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিজেরা একটু কম লাভ করে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করা। বিশেষ করে রমজান মাসে ইফতারিতে। এ সময় ক্রেতার চাপ বেড়ে যায়। ফলে তাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয়। এ ব্যাপারে পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহ্বুবুর রহমান জানান, জুয়েল মিয়া ও লিপি বেগম দম্পতির এক টাকার হোটেল প্রতিষ্ঠা নিঃসন্দেহে একটি মহতি উদ্যোগ। এতে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সুফল পাচ্ছে। বিশেষ করে রোজাদারদের ইফতারিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে