লৌহজংয়ে সড়ক উদ্বোধন অবশেষে এক কি.মি. নতুন রাস্তায় দূর হলো দুর্ভোগ
প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মেদিনী মন্ডল ইউনিয়নের কাজির পাগলায় হাজী মো. ইউসুফ সড়কের উদ্বোধন করা হয়েছে। গত শুক্রবার বিকালে ৬ ং ওয়ার্ডে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশারের বাড়ি থেকে কাজির পাগলা কবরস্থান পর্যন্ত নতুন রাস্তার উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে যাতায়াতে দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেলেন এলাকাবাসী। এখন তাদের যাতায়াতে বাঁচবে সময় কমবে ভোগান্তি।
মেদিনী মন্ডল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হেসেন ও কাজির পাগলা ৬নং ওয়ার্ড বাবু মেম্বারের যৌথ অর্থায়নে প্রায় ১ কি.মি. মাটির নতুন রাস্তাটি তৈরি করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল কাজির পাগলা গ্রামের শেখ বাড়ি তার আশপাশের লোকজন। শেখ বাড়ি থেকে কাজির পাগলায় আসতে এ এলাকার লোকজনের প্রায় ৪ কি.মি. রাস্তা ঘুরে আসতে হতো। শুকনো মৌসুমে গ্রামবাসীর তেমন সমস্যা না হলেও বর্ষায় অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হতো। বর্ষা মৌসুমে পানিতে ভিজে বা নৌকায় যাতায়াত ছাড়া কোনো বিকল্প উপায় ছিল না তাদের। এ সময় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হতো শিশু ও মহিলাদের।
এই রাস্তার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে ঐতিহ্যবাহী কাজীর পাগলা বাজার, কাজির পাগলা হাইস্কুল, আব্দুল কাদির কিন্ডার গার্টেন স্কুল, কাজির পাগলা কবরস্থান, দোগাছি, গোয়লী মান্দ্রা হাট ও চন্দ্রের বাড়ী বাজার।
মেদিনী মন্ডল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী মো. ইউসুফের নামে রাস্তাটি নামকরণ করা হয়েছে। কাজির পাগলা গ্রামের এ এলাকায় মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তার জন্য বছরের পর বছর কষ্ট করেছেন এলাকার জনগণ। প্রায় এক কি.মি. নতুন মাটির রাস্তা নির্মাণে খরচ হয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। এ রাস্তা নির্মাণে সম্পূর্ণ অর্থায়ন করেছেন মেদিনী মন্ডল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন ও ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহাবুদ্দিন খান বাবু।
এদিকে এক কি.মি. রাস্তার দুই পাশে রোপণ করেছে বিভিন্ন ধরনের ২ শতাধিক ফলের গাছ। শুক্রবার বিকালে এ সড়কের উদ্বোধন করেন মেদিনী মন্ডল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লৌহজং উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিনা ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধ আবুল বাসার, মেদিনী মন্ডল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী মো. ইউসুফ, ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহাবুদ্দিন খান বাবু। আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ হোসেন প্রমুখ।