পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের শ্রীমন্ত নদীর ওপর নির্মাণাধীন কাঠালতলী-রামপুর সংযোগ সেতু। নির্মাণ কাজ শুরুর ৩ বছরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ৪ বছর অতিবাহিত হলেও অদ্যাবধি ৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। স্থানীয়দের পারাপারের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। তাই ঝুঁঁকি নিয়ে একই স্থানে ভাঙা ও ঝুঁঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয়সহ পথচারীদের। কষ্ট করে পায়ে হেঁটে ঝুঁঁকিপূর্ণ পুরাতন ব্রিজ দিয়ে পারাপার হলেও চলাচল করতে পারছে না যানবাহন। এতে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধসহ রোগীদের।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরে জাইকার অর্থায়নে ৬ কোটি ৬৪ লাখ ৯০ হাজার ৭৬ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণের কাজটি যৌথভাবে পায় বরিশালের এম এম বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লি. ও মের্সাস আমির ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন। কাজটি তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর। গত ১৭ আগস্ট ২০২১ সালে নতুন ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে এবং ৪ জানুয়ারি ২০২৩ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ৪ বছরে হলেও মাত্র ৪০ শতাংশ কাজ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রিংকু বেগম বলেন, নতুন ব্রিজের কাজ শুরু করে দীর্ঘ বছর ফেলে রেখেছে ঠিকাদার। বিকল্প যোগাযোগের কোনো ব্যবস্থা করেনি। ঝুঁঁকি নিয়ে পুরাতন ঝুঁঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে পায়ে হেঁটে নদী পার হন। কিন্তু কোনো গাড়ি পার হতে পারে না। ফলে কোনো লোকজন মারা গেলেও ব্রিজের ওপর গাড়ি থামিয়ে স্ট্রেতে করে বাড়ি নিয়ে যেতে হয়।
পথচারী মো. সুমন বলেন, ব্রিজটি ৩-৪ বছরের বেশি সময় ধরে পরে আছে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে পারাপার করতে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গাড়ি চালক আব্দুস সালাম বলেন, নতুন ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু করে শেষ করার কোনো নামই নেই। অন্যদিকে পুরাতন ব্রিজটি ঝুঁঁকিপূর্ণ হওয়ায় গাড়ি পার করা যাচ্ছে না।
বিষয়টি জানতে মের্সাস আমির ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের স্বত্ব্বাধিকারী আমির হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন বাদশাহ্ বলেন, ব্রিজটি নির্মাণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কিছুটা গাফিলতি রয়েছে। দ্রম্নত সময়ের মধ্যে ব্রিজ নির্মাণ কাজটি শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে জোর তাগিদ দেওয়া হবে।