সারিয়াকান্দিতে মাদ্রাসা স্কুল দ্বন্দ্বে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের রাস্তা বন্ধ শিরোনামে দেশের অন্যতম জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিনে (২৩ মার্চ) সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে প্রাচীরটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ৫৭নং নাড়াপালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তাটি বন্ধ করে ইটের প্রাচীর নির্মাণ করেছিল কর্নিবাড়ী দ্বিমুখী ফাজিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। এতে নাড়াপালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছিল না।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ধানের জমির সরু আইল দিয়ে কাদা-পানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হতো। এই ধানের আইল ছাড়া বিদ্যালয়ে প্রবেশ করার আর কোনো বিকল্প রাস্তা ছিল না। সামনে বর্ষা মৌসুমে বিদ্যালয়ে নৌকা ছাড়া যাতায়াত করা অসম্ভব হয়ে যেত। বিষয়টি পত্রিকার মাধ্যম জানতে পেয়ে গত শনিবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুর রহমান।
তিনি তাৎক্ষণিক কর্নিবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে দেয়ালটি ভেঙে আজকের মধ্যেই চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এসি ল্যান্ড সবুজ কুমার বসাক, কর্নিবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন (দিপন)।
কর্নিবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন দিপন বলেন, ইউএনও'র নির্দেশে প্রাচীরটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের আর কোনো সমস্যা হবে না।
এ বিষয়ে ইউএনও তৌহিদুর রহমান বলেন, শিক্ষক ও ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে রাতেই বলে এসেছি দেয়ালটি ভেঙে ফেলতে। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি দেয়ালটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।